কাজের জন্য মাসজুড়ে ঘেরা কিন্তু কাজ শুরু হয়নি আজও
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে কালভার্ট সড়কে চতুষ্কোণ ম্যানহোলটি প্রায় এক মাস আগে ঘেরা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক দিনের জন্যও ভেতরের আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়নি। উল্টো রাস্তার এক-তৃতীয়াংশজুড়ে এই ঘিরে রাখার কারণে সেখানে ব্যস্ত সময়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘেরা দেওয়া স্থানে টাঙানো সাইনবোর্ডে ওয়াসার সতর্কবাণী। লেখা রয়েছে, ‘সাবধান, ম্যানহোল কভার খোলা, বক্স কালভার্ট ক্লিনিং কাজ চলিতেছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।’ কিন্তু দেখা গেল, ম্যানহোলের ঢাকনা বন্ধই আছে।
কালভার্টের কয়েক গজ দূরে আবদুর রহমানের পান-সিগারেটের দোকান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘেরা দেওয়ার পর একবারের জন্যও ঢাকনা খুলতে দেখিনি।’ ওই দোকানের সামনে বসে ছিলেন দক্ষিণ কমলাপুর এলাকার তিনজন বাসিন্দা। এই দোকানের সামনে বসে নিয়মিত গল্প করেন বলে জানালেন তাঁরা। কিন্তু কোনো দিনই এক্সকাভেটর আসতে বা আবর্জনা পরিষ্কার করতে দেখেননি তাঁরাও।
ওই এলাকায় অনেকগুলো গ্যারেজ। মামুন মোটরস, সোনালী অটোমোবাইল, সালাম মোটরস, আল হোসেন অটোমোবাইলসে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলো। তাঁরা বলেন, প্রায় দুই মাস আগে কমলাপুর বাজারের কাছে কালভার্টের আবর্জনা পরিষ্কার করতে দেখা গিয়েছিল। তারপর আর ওয়াসার লোকজন আসেননি। রাস্তার অংশে এভাবে ঘেরা দেওয়ায় এখানে প্রায়ই যানবাহনের জটলা হয়। শনিবারও তা দেখা যায়। একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ঘেরাও স্থানটির একদিকে দাঁড়িয়ে আছে। বিপরীত দিকে দেশ ট্রাভেলস পরিবহনের একটি বাস। বাসটি যাওয়ার পর ব্যক্তিগত গাড়িটি যেতে পারে।
এদিকে ঢাকা ওয়াসার ড্রেনেজ বিভাগ হিসাব দিয়েছে, প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্টের ভেতর থেকে ১ বছরে ১৪ হাজার মেট্রিক টন আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা। কিন্তু বক্স কালভার্টের পুরানা পল্টন লাইন, ফকিরাপুল, আরামবাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে বালুর মাঠ এলাকার বাসিন্দা ও দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এত বিপুল পরিমাণ আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে বলে তাঁদের মনে হয় না। তাঁরা বলেন, বর্ষা মৌসুম আসার আগে আবর্জনা ওঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়। বর্ষার মধ্যেও কিছু কাজ হয়। মাঝে মাঝে রাস্তার ওপর আবর্জনা রাখা হয়েছে, বৃষ্টি হলে সে আবর্জনা আবার কালভার্টের ভেতরে চলে গেছে। সারা বছর ভেতরে পরিষ্কার করা হয় না। বর্তমানেও কালভার্টের কোনো অংশ পরিষ্কার করা হচ্ছে না।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ওয়াসার পরামর্শক এ কে এম শহিদউদ্দিন বলেন, কালভার্টের ভেতরে পরিষ্কারকরণ কাজের জন্যই টিনের ঘেরা দেওয়া হয়েছে। সেখানে কাজ না হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।