দুই মহাসড়কে যানজট
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। আজ রোববার ভোর পাঁচটা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতু এলাকা থেকে দাউদকান্দি বিশ্বরোড পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকায় যানজট চলছে। আর গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকা থেকে সূত্রাপুর পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ট্রাকচালক নূর হোসেন ও ইলিয়াছ মিয়া। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটে আটকে আছেন তাঁরা। জানালেন, কয়েক দিনের যানজটের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হাইওয়ে ও থানা-পুলিশ ঝিমিয়ে পড়েছে। এ জন্য পুনরায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী সবজিবোঝাই পিকআপের চালক রাসেল মিয়া বলেন, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়ায় যানজটে আটকা পড়ে মেঘনা সেতু পর্যন্ত ১০ মিনিটের পথ পার হতে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার পুলিশের সার্জেন্ট আলমগীর হোসেন বলেন, ‘রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে ভারী যানবাহন সড়কের বিভিন্ন স্থানে আটকা ছিল। সে কারণেই সকালে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজায় এসে জট সৃষ্টি হয়। আশা করছি, আধা ঘণ্টার মধ্যে মহাসড়ক যানজটমুক্ত হবে।’
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বৃষ্টির কারণে গতকাল রাতে যানজট সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে যানজট মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় বিস্তৃত হয়। আজ ভোরে যানজট কমতে শুরু করে। সকাল আটটার দিকে মহাসড়কের দেওহাটা থেকে কুর্ণী পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় কোনো যানজট ছিল না। তবে সাড়ে আটটার পর আবার জটের সৃষ্টি হয়েছে। সকাল নয়টার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসে গিয়ে টাঙ্গাইলগামী যান চললেও ঢাকাগামী যান থেমে থাকতে দেখা গেছে।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম কিবরিয়া জানান, বৃষ্টি ও পশুবোঝাই যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হোসেন সরকার জানান, সকাল নয়টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার রেওভার ব্রিজে গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় এবং স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় উল্টো পথে গাড়ি চলতে গিয়ে গাড়ি চলাচল সাময়িক বিঘ্নিত হয়। পরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পর্যন্ত গাড়ির দীর্ঘ লাইন হয়। তবে কোথাও কোনো যানজট হয়নি।
নাওজোর মহাসড়ক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই জানান, টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে গাড়ি চলছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে যানবাহনের চালকেরা বলছেন, রাস্তায় খানাখন্দ থাকায় গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। এ কারণে বিভিন্ন জায়গায় যানজট হচ্ছে। ভোগড়া বাইপাস থেকে পূর্ব দিকে মীরের বাজার ও উলুখোলা পর্যন্ত মাঝে মাঝেই যানজট হচ্ছে। ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী গাড়িগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছে।