চট্টগ্রামে ফল বিপর্যয়
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, চট্টগ্রামঃ এবারে এইচএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমেছে ১১ দশমিক ০৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৩৮৩ জন।
এবারের এইচএসসিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৬১ দশমিক ২২ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
গতবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ১৫৫ জন হলেও এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৭২ জনে।
দেশের সাতটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে চট্টগ্রামে পাসের হার সর্বনিম্ন।
শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, পাসের হার কমার জন্য রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পরীক্ষা পদ্ধতিই দায়ী।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. পীযূষ দত্ত।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এবছর রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য ১২ বার পরীক্ষায় সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
“অনেক শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতি, শুক্র, শনি তিন দিনই পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এজন্য শিক্ষার্থীরা রিভিশন দিতে পারেনি।”
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা চারবার পিছিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বেশি শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।
চট্টগ্রাম বোর্ডে ইংরেজি প্রথম পত্রে ৮৯ শতাংশ পাস করলেও দ্বিতীয় পত্রে পাসের হার ৬৬ শতাংশ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবারে ৬৪ হাজার ২৮২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৮ হাজার ৯৮৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্রী পাস করেছে ১৯ হাজার ৪৪৮ জন, ছাত্র পাস করেছে ১৯ হাজার ৫৩৮জন।
ছাত্রী পাসের হার ৬১ দশমিক ১৮, ছাত্র পাসের হার ৬১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার পাস করেছে ৬৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ, মানবিক বিভাগ থেকে ৫৪ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৬২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
এবারে চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাসের হার ৭৪ দশমিক ০৮ শতাংশ। মহানগরী বাদে চট্টগ্রাম জেলার পাসের হার ৫২দশমিক ৭৯ শতাংশ।
সামগ্রিক ফলাফলে এবারো সেরা ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। চারটি মানদণ্ডে ৮৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তারা সেরা হয়েছে। ৪২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০ জন।
সামগ্রিক ফলাফলে ৮০ দশমিক ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় চট্টগ্রাম কলেজ। ৭৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় সরকারি কমার্স কলেজ।
এবার চট্টগ্রাম বোর্ডে দুটি কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গতবার এ সংখ্যা ছিল পাঁচটি।
কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, এবার এমন কলেজের সংখ্যা শূন্য।