ইংল্যান্ড-ম্যাচ মনে করিয়ে দিচ্ছেন তামিম
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: যদি ডেভিড ওয়ার্নার-স্টিভ স্মিথের জুটিটা ভাঙা যেত, যদি লিডটা আরও বড় হতো। স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্য সরকার যদি ওয়ার্নারের ক্যাচটা না ফেলতেন—কত আফসোস এখন বাংলাদেশের সঙ্গী! এই আফসোস কাল না আবার দীর্ঘশ্বাসে রূপ নেয়। দলের প্রতিনিধি হয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসা তামিম ইকবাল যদিও আশা হারাচ্ছেন না। বাঁহাতি ওপেনার মনে করিয়ে দিচ্ছেন গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ঢাকা টেস্টের কথা।
২৭৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ইংলিশরা তুলে ফেলেছিল ১০০ রান। পরে ৬৪ রানের মধ্যে অলআউট হয়ে ম্যাচটা তারা হারে ১০৮ রানে। ২৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আজ অস্ট্রেলিয়া ২৮ রানে ২ উইকেট হারালেও ওয়ার্নার-স্মিথের অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮১ রান যোগ করায় স্বস্তিতে দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচ কিছুটা অস্ট্রেলিয়ার দিকে হেলে গেলেও তামিম বলছেন ধৈর্য ধরতে, ‘ইংল্যান্ডের সঙ্গে যেমন ছিল, এই টেস্টেও একই পরিস্থিতি। উইকেট আনপ্রেডিক্টেবল। শুধু উইকেটের জন্য নয়, যদি ডট বলের জন্য বল করতে থাকি, চাপে ফেলতে পারলে উইকেট দ্রুত আসবে। পরিস্থিতির বিচারে ১৫০ রান (জিততে অস্ট্রেলিয়ার ১৫৬ রান দরকার) বেশি মনে হচ্ছে না। উইকেটই এমন, এখানে ওদের যে দুজন আছে, তাদের একজন যদি দ্রুত আউট হয়ে যায়, আপনি জানেন না কী হবে। ইংল্যান্ডের শূন্য রানে ১০০ উইকেট ছিল। পরে তারা ১৫০ রানে (১৬৪ রান) অলআউট!’
উইকেটের যখন এমন অননুমেয় চরিত্র, স্পিনাররা যেখানে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, দলের ক্লোজ-ইন ফিল্ডাররা কি দিতে পারছেন তাঁদের সামর্থ্যরে শতভাগ? সৌম্য সরকার যেভাবে স্লিপে দুই ইনিংসেই ওয়ার্নারের ক্যাচ ছেড়েছেন, প্রশ্ন উঠেছে তাঁর দক্ষতা নিয়েই। যদিও সতীর্থকে আগলে রাখছেন তামিম, ‘হাতে লেগে পড়ে গেছে মানে যে সেটা ক্যাচ, এ রকম নয়। খুব কঠিন ছিল ওটা (দ্বিতীয় ইনিংসে)। খুব দ্রুত এসেছিল। প্রথম ইনিংস যেটা মিস করেছে, সেটা বলতে পারেন। এগুলো আটকে গেলে ক্যাচ হয়ে যায়।’
এই ক্যাচ হাতছাড়ার মূল্য বাংলাদেশকে দিতে হয় কি না, কাল জানা যাবে। তবে তামিম এখনো আস্থা রাখছেন দলের ক্লোজ-ইন ফিল্ডারদের ওপর, ‘স্লিপ, সিলি দুটিই কঠিন জায়গা। ওই পজিশনের জন্য আমাদের সম্ভাব্য সেরা ফিল্ডাররাই ফিল্ডিং করে। ইমরুল অনেক দিন ধরে এটা করে, সৌম্য ভালো স্লিপ ফিল্ডিং করছে। এই একটা-দুইটা জায়গায় সহজ ক্যাচও কঠিন। তারা তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা এটা নিয়ে অনেক পরিশ্রমও করে। আমাদের ক্রিকেট যেভাবে উন্নতি হচ্ছে, স্লিপ ফিল্ডিংয়েও একইভাবে উন্নতি হচ্ছে। সামনে সুযোগ এলে আশা করি তারা সেটা ভালোভাবে ধরতে পারবে।’