অস্ট্রেলিয়া বুঝেছে বাংলাদেশ কতটা আগ্রাসী
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: সিরিজ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে রসিকতা করে মুশফিকুর রহিম প্রশ্ন করেছিলেন, ‘বাংলাদেশ খেললেই ঐতিহাসিক?’ আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক স্বীকার করছেন, ইতিহাসে ঠাঁই নেওয়ার ম্যাচই ছিল এটা।
আগের দিন স্মিথ-ওয়ার্নার যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন, তাতে কিছুটা ভয়ই পাইয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে ২ উইকেটে ১৫৮ থেকে ২৪৪ রানে অলআউট করে যেভাবে জয়টা মুঠোয় পুড়ে নিল বাংলাদেশ, অবিশ্বাস্য! এই জয়ের মাহাত্ম্য মুশফিকের কাছে বড় তো হবেই, ‘এখন বলতে পারি ম্যাচটা ঐতিহাসিক ছিল। আপনারা বলছিলেন, ১১ বছর পর ওদের বিপক্ষে খেলা। ম্যাচ কখনো ঐতিহাসিক হয়? ফলের কারণে ম্যাচকে মনে রাখা যায়। এটাকে আমি অনেক বড় অর্জন বলব। ইংল্যান্ড অনেক শক্তিশালী দল ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে উপমহাদেশে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড খুব একটা ভালো না হলেও ওরা কিন্তু এখানে প্রায় পুরো শক্তি নিয়েই এসেছে।’
অস্ট্রেলিয়া কাল ২ উইকেটে ১০৯ রান তুলে যখন দিন শেষ করল, মুশফিকদের মুখে তখন রাজ্যের চিন্তা। তবে ম্যাচটা ছিটকে যাবে তাঁদের কাছ থেকে, এ আশা কখনো হারাননি মুশফিক, ‘এই উইকেটে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১৫৬ রান করা…আমাদের বিশ্বাস ছিল। ওদের দুজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান উইকেটে ছিল। ওদের কাউকে যদি দ্রুত আউট করতে পারি…। যদি দ্রুত আউট না-ও করা যায়, যে উইকেট ছিল তাতে নিয়মিত লাইনে হিট করতে পারলে একটা না একটা বল অদ্ভুত আচরণ করবেই। যা আমাদের ইনিংসে হয়েছে। এদিক থেকে আমাদের বিশ্বাস ছিল। শেষে কামিন্স যখন দুটি ছয় মারল, তখনো আমার বিশ্বাস ছিল। আউট হতে লাগে এক বল, ওদের দরকার ২০ রান। সেটি করতে হলে ২০টা স্কোরিং তো শট খেলতে হবে বা চেষ্টা করতে হবে।’
ঐতিহ্যগতভাবেই অস্ট্রেলিয়া মাঠে আক্রমণাত্মক এক দল। এই টেস্ট দিয়ে স্মিথদের কাছ থেকে দেখা হয়েছে মুশফিকদের। ঢাকা টেস্টে যথারীতি অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক চেহারা দেখা গেলেও স্মিথদেরও হয়েছে নতুন এক অভিজ্ঞতা। মুশফিক আজ সংবাদ সম্মেলনে সেটিই বললেন, ‘ওদের মধ্যে আগ্রাসন তো অবশ্যই ছিল। তবে ওরাও বুঝেছে বাংলাদেশ কতটা আগ্রাসী হতে পারে। শুধু ব্যাটে-বলে নয়, শরীরী ভাষাতেও ওরা সেটা টের পেয়েছে। লাঞ্চের তখন ৬ মিনিট বাকি। ম্যাক্সওয়েল প্রায় ৫ মিনিট সময় নিচ্ছিল যেন ওই ওভারের পর আর কোনো ওভার না হয়। অস্ট্রেলিয়া এমন ব্যাক ফুটে চলে গেছে যে তারা চাচ্ছিল না আরেকটা ওভার খেলতে। ওরা আমাদের জুনিয়রদের অনেক কথা বলেছে, যা আমরাও ফিরিয়ে দিয়েছি। আমরা আগের জায়গায় নেই, সেটা ওরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে !’