আমি সবার কাছ থেকে শিখি: প্রভা

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: পর্দায় প্রভার বয়স অর্ধযুগের খানিক বেশি। ফলে চালু ক্যামেরা সামনে থাকলে সেটাকে আর ভয় করে না তাঁর। কিন্তু কাঁদতে এখনো গ্লিসারিন লাগে প্রভার। চোখ থেকে এক ফোঁটাও পানি পড়ে না। এমনকি হাউমাউ করে কাঁদলেও না। গ্লিসারিন লাগে। এ নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই। প্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম তাঁকে বলে দিয়েছেন, ‘এসব নিয়ে ভেবো না। শিল্পীর কাজ অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা। সে জন্য যা যা দরকার, লাগাতে হবে।’

কথা হচ্ছিল প্রভার সঙ্গে। একসময় টেলিভিশন খুললেই রোমান্টিক মেয়ের চরিত্রে দেখা যেত তাঁকে। প্রাণ জুড়িয়ে হাসতেন, কেঁদে সবার মন খারাপ করে দিতেন। এখন আর সেসব চরিত্রে তাঁকে দেখা যায় না। প্রভার কি তবে কপাল পুড়েছে?
না। এখন আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ সব চরিত্রে কাজ করতে হয় তাঁকে। এই যেমন ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টায় চ্যানেল আইতে তাঁকে দেখা যাবে মাহমুদ দিদারের ‘না জাগতিক না পুরাণ’ টেলিছবিতে। ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ছাত্রীর জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারীর চরিত্রে অভিনয় সহজ কথা নয়। কিন্তু করতে করতে তিনি শিখেছেন অনেক কিছু। আরও শিখবেন, আরও করবেন। মুঠোফোনে গল্পচ্ছলে বলছিলেন, ‘গতকাল কাজ করতে এসেছে অভিনয় ব্যাকগ্রাউন্ডের যে ছেলে বা মেয়েটা, আমি তাঁর থেকেও শিখি। আমি সবার কাছ থেকে শিখি। আমি মানুষকে ভ্যাঙাতে পারতাম খুব। সেটাও যে অভিনয় করতে এসে কাজে লাগবে, বুঝিইনি। এক সিনিয়র শিল্পী একবার বলেছিলেন, এটা নাকি বিরাট গুণ। বোঝেন অবস্থাটা। আমি যে এত গুণ নিয়ে বসে আছি, নিজেই জানি না।’
ঈদের আগে আগে কথা হচ্ছিল বলে, ঈদ বিষয়ে একটি কথা শেয়ার না করে পারলেন না প্রভা। শরীয়তপুরে যেখানে তাঁদের বাড়ি, নামাজ শেষে মুসল্লিরা প্রথম ফিরনি-পায়েস তাঁদের বাড়িতেই খেয়ে যান। এটা নাকি অনেক দিনের রীতি। ঈদে নিজের নাটক দেখেন, অন্যদেরগুলোও দেখেন। যে কাজগুলো নিয়ে আলোচনা হয়, পরে সেগুলো দেখে নেন ইউটিউবে। এবার ঈদের টিভিতে বেশ কয়েকটি নাটক-টেলিছবি আছে প্রভার। ঈদুল ফিতরের নাটকগুলো থেকে বেশ সাড়া পেয়েছিলেন। এবারের ঈদে আবু হায়াত মাহমুদের টেলিছবি ‘প্রশ্ন’, সেতু আরিফের ‘শবনম’ পরিচালনায় করা কাজগুলো ভালো লেগেছে তাঁর। এ ছাড়া চয়নিকা চৌধুরী, ইমরাউল রাফাত, সুমন আনোয়ারের পরিচালনায়ও টেলিভিশনে বেশ কিছু কাজ করেছেন তিনি। টেলিছবিগুলো দেখতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ