অটোরিক্সা চালক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ২০০৩ সালেও চঞ্চল ছিল অটোরিকশা চালক। ২০০৫ সালে পরিচয় হয় বাড্ডার আবাসিক হোটেলের বয় রহমানের সঙ্গে। হোটেল সূত্রে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে রাজধানীর অভিজাত এলাকার মানুষদের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। বাড়তে থাকে তার নেটওয়ার্ক। শুধু অভিজাত এলাকায়য় অবৈধ কাজে নারী সরবরাহের টাকায় চঞ্চল রাজধানীতে গড়ে তুলেছে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট আর জমি। যার বাজারমূল্য শত কোটি টাকা।
২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গুলশান-বাড্ডা এলাকায় সরকারি ক্ষমতার ছত্র-ছায়ায় চঞ্চল হয়ে ওঠে অদম্য। ক্ষমতার দাপট ধরে রাখতে দুই কোটি টাকা নজরানা দিয়ে যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেয় চঞ্চল। আর এই পদ পাওয়ার পরপরই বাড্ডা যুবলীগের আহ্বায়ক কায়সার মাহমুদ, সুমন, বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তালাল রিজভী, গুলশান থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফারুক মিলন ও রাকিব নামে এক ব্যক্তিকে ধারাবাহিকভাবে তাদের বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলি চালায় এ বাহিনী।
পিডিবি, ওয়াসা, ডেসা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও সিএমএমইউর টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ হয় চঞ্চলের হাতে। এই টেন্ডারবাজির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করেই মিল্কী খুন হন। চঞ্চলের ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা।
যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, চঞ্চল ও তার ক্যাডার বাহিনী যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার মাধ্যমে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি করছে। যুবলীগের প্রবেশের আগে চঞ্চলের কোন রাজনৈতিক পরিচয়ই ছিল না।