৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে : মেয়র
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলছেন, ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন দুপুর পর্যন্ত ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির জন্য কোনো আইন বা শাস্তির বিধান করা হবে না। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে না বলে তিনি জানান।
আজ বেলা ২টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ভবনে ঈদুল আজহায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দুই সিটির যৌথ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
দুই সিটি করপোরেশন থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে মেয়র বলেন, এখন পর্যন্ত ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে। আজ ও আগামীকাল পশু কোরবানির ফলে যে বর্জ্য হবে, তা-ও দ্রুত অপসারণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এ বছর পশু কোরবানির জন্য ডিএসসিসি ৬৫০টি এবং ডিএনসিসি ৫৪৯টি স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। সম্মেলনে সাংবাদিকেরা বেশির ভাগ বেঁধে দেওয়া স্থানে কোরবানি হয়নি বলে আইনি পদক্ষেপের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। সাঈদ খোকন বলেন, ‘জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। জনগণ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে অংশগ্রহণ করুক, আমরা সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী যাচ্ছি। এটা আমাদের দ্বিতীয় বছর। হয়তো আরও দু-চারটি বছর লাগবে, এ সিচুয়েশনটাকে ইমপ্রুভ করবার জন্য।’ এ ছাড়া মেয়র বলেন, রাজধানীতে পাঁচ লাখ পশু কোরবানি হয়। এত পশু কোরবানির জন্য ঢাকায় তেমন কোনো স্থান নেই।
দুই সিটি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ২৭০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তরে ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। ঈদের দিন থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত ১ হাজার ৬৮৬টি ট্রিপের মাধ্যমে ৮২৭০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণে ধারণা করা হয়েছিল ১৮ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। আজ দুপুর পর্যন্ত ৩ হাজার ট্রিপের মাধ্যমে ১৪ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
বর্জ্য অপসারণে সহায়তার জন্য দুই সিটি থেকেই হট লাইন চালু করা হয়। মেয়র জানান, দক্ষিণে ৯৫০টি ফোন কল এসেছে। তার মধ্যে ৩১টি ফোন কল এসেছে বর্জ্য অপসারণের সহায়তা চেয়ে। বাকি সব কৌতূহলের ফোন কল ছিল। তবে উত্তরে ফোন কলের সংখ্যা তুলনামূলক কম। এবার দুই সিটি করপোরেশনে বর্জ্য অপসারণে ১৭ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক অসুস্থ হয়ে দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকায় দক্ষিণের মেয়র দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের দিয়ে এবারের বর্জ্য অপসারণের বিস্তারিত তুলে ধরেন।