টাইগারদের সাহায্যে লায়নের বিশ্বরেকর্ড
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বাংলাদেশের স্কোরকার্ডটা দেখতে আজ কিন্তু মন্দ লাগছে না। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রেই আরাম করে লিখে দেওয়া যাচ্ছে এলবিডব্লু। এর চেয়েও মজার ব্যাপার, সব ক্ষেত্রেই বোলারের নামটাও মিলে যাচ্ছে—নাথান লায়ন। বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দিয়ে একটি অনন্য রেকর্ডেরও মালিকও হয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ান অফস্পিনার।
টেস্ট ক্রিকেটের ১৪০ বছরের ইতিহাসে এমন কিছু আগে ঘটেনি। কোনো দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যানকেই কোনো বোলার এলবিডব্লু করতে পারেননি। এক টেস্টে ১৯ উইকেট পাওয়া জিম লেকার, ইনিংসে ১০ উইকেট পাওয়া অনিল কুম্বলে কিংবা ইনিংসে দুবার ৯ উইকেট পাওয়া মুত্তিয়া মুরালিধরনও যা করতে পারেননি, সেটিই করে দেখালেন লায়ন। এর পেছনে অস্ট্রেলীয় অফস্পিনারের যতটা কৃতিত্ব, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দায়ও ততটাই।
আজ বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের আউটের রিপ্লে দেখে ভিন্ন মনে হতে পারে। কিন্তু নিশ্চিত থাকুন, প্রত্যেকেই আউট হয়েছেন একই সমীকরণে। অত্যন্ত ধীরগতির উইকেটে পেছনের পায়ে খেলার চেষ্টাটাই ডুবিয়েছে তাঁদের। এমন উইকেট দেখে লায়নও বলের গতি পাল্টে নিয়েছেন। যখনই সুযোগ পেয়েছেন, গতি বাড়িয়ে বলকে স্কিড করিয়েছেন। ইমরুল কায়েস সুইপ করতে গিয়ে হয়েছেন এলবিডব্লু। আর তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হক—সবাই লাইন মিস করে আউট হয়েছেন। তাতেই অমন এক রেকর্ড হয়ে গেল লায়নের।
টেস্টে কোনো ইনিংসে প্রথম চারজনকে এভাবে এলবিডব্লু হতে আর একবারই হতে দেখা গেছে। এর সঙ্গেও জড়িয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার নাম। ২০০৪ সালে ক্যান্ডি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম চারজনই এলবিডব্লু হয়েছিলেন। তবে সেবার জাস্টিন ল্যাঙ্গার, ম্যাথু হেইডেন, রিকি পন্টিং ও ড্যামিয়েন মার্টিনের উইকেটগুলো ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন নুয়ান জয়সা, চামিন্দা ভাস ও মুরালিধরন।
লায়ন অবশ্য ৪ উইকেটেই ‘সন্তুষ্ট’ থাকেননি। শেষ বিকেলে বল করতে এসে তুলে নিয়েছেন ৬৬ রানে ব্যাট করা সাব্বির রহমানকে। নিজের করে নিয়েছেন আরও একটি ৫ উইকেট-কীর্তি।