মিথ্যাচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ফখরুলের
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে মিথ্যাচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এ মিথ্যাচারের জন্য ক্ষমা তাঁকে চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর এসব উক্তি বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মূলত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তাদের এই মিথ্যাচারের জবাব একদিন জনগণ দেবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের কাজই হচ্ছে প্রকৃত ইস্যুকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন ইস্যু তৈরি করা। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বশীল পদে থেকে মিথ্যা ও ভুয়া কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনীতির গতিসঞ্চার, বন্যা-পরবর্তী সংকট মোকাবিলা, বেহাল সড়ক সচল করা, রাখাইনে গণহত্যা ও রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের নিন্দা জানাতে ব্যর্থতা এবং চালের দাম কমাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতা ঢাকতেই সরকার খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাদের নামে মিথ্যাচার করছে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে তাঁর বাড়িতে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, সরকার মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে, কিন্তু তাতে তারা বিশ্বাস করে না। তাদের ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে পূজার প্রস্তুতিতে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে। এটাই তাদের চেহারা।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) সংসদে বিএনপি ও আমার নামে সম্পদের যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা মিথ্যা ও বানোয়াট। এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হচ্ছে বিএনপিকে ঘায়েল করা এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা।’ তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কানাডায় বিএনপি নেতাদের যে সেকেন্ড হোম আছে, তার তালিকা প্রকাশ করুন। চ্যালেঞ্জ করছি, আমাদের বিরুদ্ধে এসব কল্পকাহিনির সত্যতা গত ১০ বছর প্রমাণ করতে পারেনি, এখনো পারবে না।’