দীর্ঘ দুই যুগ পরে বকেয়া বেতন পেল কালীগঞ্জ মসলিন কটন মিলের শ্রমিকরা
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠীত কালীগঞ্জের মসলিন কটন মিলের কর্মরত শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করেই ১৯৯০ সালে বন্দ্ব কওে দেয়া হয়েছিল। দীর্ঘ দুই যুগ পর আজ শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনা পেল। আজ কালীগঞ্জ মসলিন কটন মিক মাঠে ,বস্র ও পাট মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে স্থানীয় এমপি এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, শ্রমিকদের হাতে এই বকেয়া বেতনের পাওনা চেক প্রদান এবং মসলিন কটন মিলের চুক্তিনামা ও চাবি হামিম গ্র“পের মালিক এ কে আজাদের কাছে হস্তান্তর করেন। প্রাথমিকভাবে আজ মৃত বিশ শ্রমিকের ওয়ারিশদের হাতে ২৫০০০ হাজার করে টাকার চেক প্রদান করা হয় । পরে পর্যায়ক্রমে সকল শ্রমিকের বকেয়া সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে ।
পাশা পাশি ২৪০ বিঘা জমির উপর স্থাপিত মসলিন কটন মিলটি হামিম গ্র“পের কাছে হস্তান্তর করা হয় । ১৩৫ কোটি টাকার বিনিময়ে বন্দ্ব হয়ে যাওয়া এই মিলটি সরকারের কাছ থেকে কিনে নেয় হামিম গ্র“প। এই সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বস্র ও পাট মন্ত্রী বলেন জনগনের আনন্দই সরকারের আনন্দ । আমরা রাজনীতি করি জনগনের জন্য । তিনি বলেন যোগাযোগ ব্যাবস্থা ও বিদ্যুৎ হল সভ্যতার নিদর্শন। বর্তমান সরকার ৩১০০ মেগাওয়াট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬৭০০ তে উন্নীত করেছে । তিনি বলেন বন্দ্ব হয়ে যাওয়া এই মিলটি হস্তান্তরের মাধ্যমে এখানে ২৫০০০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃস্টি হবে । কালীগঞ্জ হবে একটি আধুনিক শিল্প নগর। তিনি জামাতের রাজনীতির নিবন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নাই।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন ইসলাম ধর্মে আছে শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগে তাঁর পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে হবে । কিন্তু বিএনপি জামাত জোট দীর্ঘ দুই এই মসলিন কটন মিলের শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে নাই । । বরং মিলের যন্ত্রপাতি বিএনপি সরকার চুরি করে বিক্রি করে লুটেপুটে খেয়েছে। এই সরকার এসে অনেক চেষ্টা করে তাদের বকেয়া আজ প্ররিশোধ করল। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হামিম গ্র“পের মালিক এ কে আজাদ বলেন বিগত কেয়ারটেকার সরকারের সময় বাংলাদেশের বাজেট ছিল ৯২ হাজার কোটি টাকা আর বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট হল ২২২০০০ কোটি টাকা । ব্যাবসায়ীদের করের টাকা দিয়ে এই বিশাল বাজেট প্রনয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন আগামী তিন বছরে এই মিলে ২৫০০০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে । কালীগঞ্জকে একটি আধুনিক শিল্পাঞ্চলে পরিনত করা হবে । এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বস্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের সচিব আশরাফুল মকবুল।