জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে: ফখরুল
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ‘ফিরিস্তি’ দিয়ে আওয়ামী লীগ এখন আর ‘জনগণের মনোভাব’ বদলাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বলেন, “ রাজধানীর উত্তরা থেকে আসার পথে দেখলাম বিভিন্ন স্থানে সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি লেখা বিলবোর্ড টাঙানো হয়েছে। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান উন্নয়নের দশক পালন করেছিল। এরশাদও করেছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। জনবিস্ফোরণে তাদের পতন হয়েছে।’’এই বিএনপি নেতার ভাষায়, গত সাড়ে চার বছরে বর্তমান সরকার দুর্নীতি করে দেশের অর্থনীতি ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছে।
“সরকার যতো কলাকৌশল কিংবা প্রচারণা চালাক, কোনো কাজ হবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। ’’
পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারকে এথনই সরে দাঁড়ানোরও পরামর্শ দেন বিরোধী দলের এই নেতা।
‘‘ সরকারকে বলব, এখনো সময় আছে, আপনারা জনগণের বডি ল্যাংগুয়েজ বুঝতে চেষ্টা করুন। তারা বলে দিয়েছে, দয়া করে তোমরা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াও। এরপরও যদি আপনারা না বোঝেন, তাহলে গণ অভ্যুত্থানে আপনাদের পতন হবে।’’
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘প্রধানমন্ত্রী ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কটূক্তি’, ছাত্রদলের মিছিলে ‘পুলিশি হামলা’ ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে ‘হত্যাচেষ্টার’ প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, “পাঁচ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সরকারের প্রতি দেশের মানুষ অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। এরপরও সরকারের মন্ত্রীরা নানা কথা বলে বেড়াচ্ছেন। আমাদের ( বিএনপি) নেতাদের বডি ল্যাংগুয়েজ নাকি ভাল না। তাদের বলব, আমাদের বডি ল্যাংগুয়েজ দেখে লাভ নেই। আপনারা জনগণের মনের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন।’’
ঈদের পর নির্দলীয় সরকারের আন্দোলনে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহবান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ সজলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুব দল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, ছাত্র দল সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মোল্লা প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন।