মিল্কি হত্যামামলায় লোপার স্বীকারোক্তি
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যামামলায় গ্রেপ্তার ফাহিমা ইসলাম লোপা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
র্যাবের অভিযানে শনিবার গ্রেপ্তার লোপা রোববার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দি নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে এবিসি নিউজ বিডিকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।
গত ২৯ জুলাই রাতে লোপার স্বামী ব্যবসায়ী মারুফ রেজা সাগরের গাড়িতেই মোহাম্মদপুরের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (দক্ষিণ) সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কি।ওই রাতেই গুলশানে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মিল্কি। হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন এইচ এম জাহিদ সিদ্দিক তারেক গ্রেপ্তার হওয়ার পর খিলক্ষেতে র্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ সাগরের স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব দাবি করেছে, মহানগর ছাত্রলীগের (দক্ষিণ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকের সঙ্গে লোপার ‘পরকীয়া’ ছিল। লোপা স্বামী সাগরের কাছ থেকে জেনে মিল্কির অবস্থান তারেককে জানিয়েছিল।
মিল্কি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তারেক ছাড়াও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তারা হলেন- তুহিনুর রহমান ফাহিম, সৈয়দ মোস্তফা মুজতবা আলী রুমী, রাশেদ মাহমুদ, সাইদুল ইসলাম নূরুজ্জামান, সুজন হাওলাদার ও জাহাঙ্গীর মণ্ডল।
মিল্কির ছোট ভাই মেজর রাশিদুল হক খান বাদি হয়ে গুলশান থানায় যে মামলা করেছেন, তাতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।