উত্তর কোরিয়া নিয়ে ট্রাম্পের নতুন আদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করতে নতুন আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চীনের সেন্ট্রাল ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকগুলোকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘে অনুমোদন পাওয়ার পর দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ট্রাম্পের নতুন এই নির্দেশ এল।

বিবিসির খবরে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নির্বাহী আদেশ ঘোষণা করার পর ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে অর্থের উৎসগুলো বন্ধ করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি উত্তর কোরিয়ার বস্ত্র, মাছ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান খাতের কথা উল্লেখ করেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, অনেক দিন ধরে উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার অপব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে। আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে অর্থব্যয় করছে। তিনি এও বলেন, নিষেধাজ্ঞা কেবলমাত্র উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ্য করেই জারি করা হয়েছে।

ট্রাম্পের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন পরে সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন ঠিক করতে হবে তারা যুক্তরাষ্ট্র না উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করবে। দুই দেশের সঙ্গে তারা বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারবে না।

গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া প্রথম ভাষণে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অথবা তাদের মিত্রদেশগুলোকে হুমকি দিলে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হবে। উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন অবশ্য বলেছেন, ট্রাম্পকে তাঁর বক্তব্যের মূল্য দিতে হবে।

কিম জং উন এক বিবৃতিতে ট্রাম্পকে বিকৃতমস্তিষ্ক হিসেবে অভিহিত করেন। উন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য ভয় দেখানো বা থামানোর বদলে আমাকে আরও আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলেছে। আমি মনে করি আমি সঠিক পথে আছি। শেষ পর্যন্ত আমার এই পথেই চলা উচিত।’

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ জাতিসংঘকে সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধংদেহী মনোভাব রয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী ওয়াং ই বিপজ্জনক পথে না যেতে পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গতকাল তিনি বলেন, উত্তর বা দক্ষিণ কোনো কোরিয়াতেই পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া উচিত না।

২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে, পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত উত্তর কোরিয়ার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ, রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রভৃতি। আন্তর্জাতিক চাপ ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র নিয়ে প্রায়ই হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।