ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে কোপাল আসামিরা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ফরিদপুরের সালথায় মামলা প্রত্যাহার না করায় ধর্ষণের শিকার ১৭ বছরের এক কিশোরীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই কিশোরীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ মে রাতে তাঁর মেয়েকে বাড়ির পাশে একটি বাগানের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেছিল কয়েক ব্যক্তি। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত ১৬ মে ছয়জনকে আসামি করে সালথা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।
মামলার পর থেকে আসামিরা বিভিন্নভাবে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন জানিয়ে কিশোরীটির বাবা বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহার না করায় গতকাল রাতে বাড়িতে আসেন প্রধান আসামি দিপু মোল্লা ও তাঁর সহযোগীরা। তাঁরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। দিপুর সহযোগীদের মধ্যে ছিলেন মাহফুজ মিয়া, মারকুজ মিয়া, ফারুক মিয়া, মিলন মিয়াসহ মোট ১৫–১৬ জন।’
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনার সময় ওই কিশোরী, তার ছোট ভাই, ছোট বোন ও মা বাড়িতে ছিলেন। আসামিরা বাড়িতে চড়াও হয়ে ওই কিশোরীকে কুপিয়ে জখম করেন।
গতকাল রাতেই ওই কিশোরীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার সাখাওয়াত মোস্তফা বলেন, কিশোরীর মাথা, হাত ও পিঠে অন্তত ১০টি কোপের চিহ্ন রয়েছে। সে এখন আশঙ্কামুক্ত।
দিপু মোল্লাসহ অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত হোসেন ধর্ষণ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। মিন্টু মোল্লা নামের এক আসামিকে কয়েক দিন আগে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দিপু মোল্লাসহ বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
কিশোরীটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আমিনুল হক বলেন, ধর্ষণের মামলার আসামিরাই কিশোরীকে কুপিয়ে জখম করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। থানায় অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।