দণ্ড পাওয়ার পরও একই অপরাধ করছিল রফিকুল
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: নীলফামারী জেলা সদরে সার তৈরির কারখানা থেকে ১০ মেট্রিক টন নকল সার ও নকল সার তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করেছে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং সেলের সদস্যরা। তবে কারখানার মালিক রফিকুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমানসহ কর্মচারীদের পাওয়া যায়নি। এক মাস আগেও রফিকুলকে আরেকটি কারখানায় নকল সার তৈরির অভিযোগে এক লাখ টাকা জরিমানাসহ ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সদর উপজেলার কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের মধ্য সুটিপাড়া গ্রামে ওই অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন ভূঁইয়া জানান, এলাকাবাসীর খবরে ওই নকল সার তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাড়িটি তালাবন্ধ থাকায় এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তৈরি ভেজাল সার দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় কারখানার মালিক রফিকুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমানসহ কর্মচারীদের পাওয়া যায়নি। পরে তৈরি ভেজাল সার ও সার তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা সার, বীজ মনিটরিং সেলের সদস্যসচিব মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় এক মাস আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে শহরের কালিতলায় নকল সার তৈরির একটি কারখানা সিলগালা ও মালিক রফিকুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানাসহ ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই মামলায় আপিলে জামিন পেয়ে পুনরায় গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে নকল সার তৈরির কারখানা স্থাপন করে সার তৈরি করছিলেন রফিকুল ইসলাম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে কথা বললে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আকতার বলেন, সেখানে পুলিশ গিয়েছিল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখনো মামলা করেননি।