বিএনপির কাছে বড় শত্রু শেখ হাসিনা: ওবায়দুল
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছেন, তাতে তিনি সারা দুনিয়ার প্রশংসা পাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপি,বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। তাদের কোনো কাজ নেই। শুধু সমালোচনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনাকে দেখতে পারে না বলে তাঁর কাজ তাদের পছন্দ হয় না। যাকে দেখতে নারী, তাঁর চলন বাঁকা। বিএনপির আজ আওয়ামী লীগ যতটা না শত্রু, তার চেয়ে বড় শত্রু হলো শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভা শেষে এক হাজার রোহিঙ্গার মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা বিশ্বসভায় যোগ দিয়ে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমানের পক্ষে জনমত গড়ে তুলেছেন। এর ফলে সারা বিশ্বের নামীদামি রাষ্ট্রনায়কেরা রোহিঙ্গাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। আর শুরু থেকেই নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
মিয়ানমার থেকে কিছু খারাপ লোক বাংলাদেশে ঢুকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ওপার (মিয়ানমার) থেকে কিছু বেড এলিমেন্টস (খারাপ লোক) বাংলাদেশে ঢুকেছিল। এরা মিলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায় সেরকম কিছু করার চেষ্টা করেছিল। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ-বিজিবি তাদের সে চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে। কোনো অশুভ শক্তি আমাদের মানবিক কাজে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। আমরা রোহিঙ্গাদের পাশে আছি।’
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য উখিয়ায় ২ হাজার একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা হবে। যারা তুমব্রুতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের ওখানে নিয়ে আসা হবে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।
পরে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য প্রচুর ত্রাণ জমা আছে। এখনো অনেক ত্রাণ আসছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে ১ মাস হয়ে গেল। এই ১ মাসে ত্রাণ নিয়ে লুটপাট, কোনো ধরনের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।