ঢাকায় নিখোঁজ মেয়র শ্রীমঙ্গলে উদ্ধার
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ঢাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র ও ব্যবসায়ী রুকুনুজ্জামানকে আজ বুধবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার মো. শাহ জালাল আজ বেলা আড়াইটার দিকে এই তথ্য জানান।
পুলিশের সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইডি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, রুকুনুজ্জামানকে আজ বেলা দেড়টার দিকে শ্রীমঙ্গলের একটি চা-বাগান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
মেয়রের চাচা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রুকুনুজ্জামানকে পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে শুনেছি।’ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কে বা কারা কেন রুকুনুজ্জামানকে অপহরণ করেছে, কীভাবে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
গত সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে বের হন রুকুনুজ্জামান। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর সঙ্গে থাকা মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
মেয়রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, শত্রুতার জের ধরে রুকুনুজ্জামানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁকে অবিলম্বে ‘জীবিত উদ্ধার’ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তাঁর এলাকাবাসী।
রুকুনুজ্জামানের বাড়ি সরিষাবাড়ীর সাতপোয়া গ্রামে। তাঁর স্ত্রী হ্যাপী বেগম সাতপোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
একসময়ের ইতালিপ্রবাসী রুকুনুজ্জামান বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরের বছর আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করে মেয়র নির্বাচিত হন। তৈরি পোশাকের ব্যবসাও আছে তাঁর। একই সঙ্গে একটি বায়িং হাউসেরও মালিক। ব্যবসায়িক কার্যক্রম দেখাশোনার জন্য উত্তরায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। সঙ্গে থাকতেন দেহরক্ষী, এক ভাতিজা, গাড়ির চালক এবং এলাকার আরও দুটি ছেলে।
নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘মেয়র রুকুন’ নামের আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ‘…নতুন প্রজন্মের কাছে আমার আহ্বান যে আমাকে হত্যা করা হলেও তোমাদের সিক্ত ভালোবাসা যেন অটুট থাকে এবং আমার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তোমরা ধরে রাখবা।’
নিখোঁজ হওয়ার পর মেয়রের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, রুকুনুজ্জামানকে স্থানীয় এক ঠিকাদার সম্প্রতি হুমকি দেন। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি।