ব্লুমফন্টেইনে তো আরও কঠিন পরীক্ষা !

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। যদিও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের কথায় বোলারদের ওপর অসন্তুষ্টি টের পাওয়া গেল। ২০০৭–এর জুলাইয়ের পর এই প্রথম ১০০–র কম রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলের দুর্দশা অবশ্য এখনই শেষ হচ্ছে না। ৬ অক্টোবর ব্লুমফন্টেইনে শুরু হতে যাওয়া ২য় টেস্টে দলের শক্তি অনুযায়ী উইকেট চাইছেন স্বাগতিক অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। এমন ন্যাড়া উইকেটে প্রোটিয়া ফাস্ট বোলারদের সামলাতে হাঁসফাঁস। ব্লুমফন্টেইনে কী হবে কে জানে!

দলের শক্তি মানে গতিময় আর বাউন্সি উইকেট। পেস আক্রমণে সব সময়ই দুর্দান্ত প্রোটিয়ারা এই মাঠে ৪টি টেস্ট খেলে সবকটিতেই জিতেছে। জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশ দল টেস্ট খেলেছে এখানে। একমাত্র নিউজিল্যান্ডই কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে হেরেছিল ৫ উইকেটে। সেখানেও পেসারদের দৌরাত্ম্য ছিল, ছিল প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের দোর্দণ্ড প্রতাপ। জ্যাক ক্যালিস সেঞ্চুরি করেছিলেন, ম্যাচে ৭ ও ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মাখায়া এনটিনি ও অ্যালান ডোনাল্ড।

বাংলাদেশ বাদে একমাত্র উপমহাদেশীয় দল হিসেবে ব্লুমফন্টেইনে টেস্ট খেলেছে ভারত। ২০০১ সালে সৌরভ গাঙ্গুলির ভারতীয় দল হেরেছিল ৯ উইকেটে। জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন হার্শেল গিবস ও ল্যান্স ক্লুজনার। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছিলেন প্রোটিয়া দলপতি শন পোলক। প্রথম ইনিংসে ভারতের জাভাগাল শ্রীনাথও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। এই মাঠে শীর্ষ ৫ উইকেট শিকারিই পেসার। ৩ টেস্ট খেলে ২১ উইকেট নিয়ে শীর্ষে শন পোলক। ৬ নম্বরে আছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ২০০৮ সালে এক ইনিংস বল করে ১৩০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁহাতি।

মোদ্দা কথায় পেস-বাউন্স মিলিয়ে সফরের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা হতে পারে ব্লুমফন্টেইনে। ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখাতে হবে তামিম-মমিনুলদের। তাসকিন-শফিউলরা পেতে পারেন তাঁদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত সবুজ উইকেট। কিন্তু সে রকম উইকেটের সুবিধা কি আদায় করতে পারবেন পেসাররা? পচেফস্ট্রুমের শক্ত উইকেটের ফায়দাও তো তুলতে পারেনি টাইগার বোলাররা। তাই টেস্ট ক্রিকেটের চিরায়ত আপ্তবাক্যেই শেষ করতে হচ্ছে। ম্যাচে ২০ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে টেস্ট জেতার কোনো সম্ভাবনাই থাকে না।

(সূত্র: ক্রিকইনফো)

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ