বন্দুক দিয়ে টার্গেট প্র্যাকটিস করি
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: হাতে বন্দুক (এয়ারগান)। বন্দুক নিশানার দিকে তাক করা। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতার এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়েছে। ছবির ওপরে লেখা আছে ‘বন্দুক দিয়ে টার্গেট প্র্যাকটিস করি, বন্দুকের নিশানা এবার তুই’।
মোট তিনটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রসেনজিৎ দাস (অপু) ও কাওসার মাহমুদের (মুন্না)। তাঁরা যথাক্রমে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী। অনপর ছবিটি কার, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ছবি ও মন্তব্য নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘বন্দুক নয়, মুক্তিযোদ্ধা পার্কে এয়ারগান দিয়ে বেলুন ফোটাচ্ছিলাম। সেটা মুন্না ফেসবুকে দিয়ে আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। তবে কাউকে হুমকি বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে পোস্টটি দেওয়া হয়নি। সেটি ইতিমধ্যে মুছে ফেলা হয়েছে।’
দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে। এমন অবস্থায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী প্রসেনজিৎ দাস এবং সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী কাওসার মাহমুদ গত রোববার রাতে বন্দুক হাতে পৃথক ওই ছবি তোলেন। তাঁদের তিনটি ছবি রোববার রাত ১১টা ২১ মিনিটে কাওসার মাহমুদের ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। ছবির ওপরে ‘বন্দুক দিয়ে টার্গেট প্র্যাকটিস করি, বন্দুকের নিশানা এবার তুই’ লেখা হয়। এই পোস্টে প্রসেনজিৎ দাসের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ট্যাগ করে দেওয়া হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মৃধা আক্তারুজ্জামান বলেন, প্রসেনজিৎ দাস ও কাওসার মাহমুদ এমন সব নেতার পাশে থাকেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু বলা কঠিন। তাঁদের ওই মন্তব্য দলের কর্মীদের জন্যও একধরনের হুমকিস্বরূপ।
ওই ছবি ও মন্তব্য নিয়ে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক, রাজনৈতিক অঙ্গন ও ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ছাত্রদল ও ছাত্রমৈত্রীর একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বিশ্বাস করে, এর মাধ্যমে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। পদ পাওয়ার আগেই যদি নেতারা এ রকম মন্তব্য করেন, পদ পেলে তাঁরা আরও বেপরোয়া হবেন।
বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হেমায়েত উদ্দিন ওরফে সুমন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘বাবুগঞ্জে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা পদ পেতে আগ্রহী। প্রসেনজিৎ দাস উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী এমনটা আমি জানি। তবে মুন্নার বিষয়টি জানা নেই।’ এমন কোনো আপত্তিকর মন্তব্য করে থাকলে তাঁরা কমিটিতে আসার সুযোগ পাবে না বলে জানান তিনি।