দুদিন পর যুদ্ধবিরতি শেষ: আরসা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: দ্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) আজ শনিবার জানিয়েছে, তাদের ঘোষিত এক মাসের অস্ত্রবিরতি দুই দিন পরই শেষ হচ্ছে। তারা আরও বলেছে, সরকার যদি চায় তবে তারা শান্তি আলোচনার জন্য রাজি আছে। খবর এএফপির।
সংগঠনটি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী সোমবার মধ্যরাত থেকে তাদের এক পাক্ষিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আরাকানে মানবিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের সুযোগ দিতে মানবিক বিবেচনায় তারা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল। যেকোনো পর্যায়েই বার্মা সরকার যদি শান্তি চায়, তবে আরসা তাকে স্বাগত জানায়।’
তবে বিবৃতিতে আরসা নতুন করে সহিংসতা চালানোর কোনো সরাসরি হুমকি দেয়নি। গত ২৫ আগস্ট সংগঠনটি রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। এরপর থেকে রাখাইনে সহিংসতা শুরু হয়। এর প্রতিশোধ হিসেবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অত্যন্ত দ্রুত নৃশংস অভিযান শুরু করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ জানায়, রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমরা জাতিগত নির্মূলের শিকার হচ্ছে।
ওই সহিংস অভিযান শুরুর ছয় সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
বিবৃতিতে আরসা জানায়, তারা শরণার্থীদের বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ‘নিরাপদ পথ’ দেখিয়ে সহায়তা করেছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করে, বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের সহায়তায় সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে সেনাবাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোয় প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় সাম্প্রদায়িক এই রক্তপাতের জন্য কারা দায়ী, তা যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। রাখাইনের যেসব এলাকায় এখনো রোহিঙ্গারা অবস্থান করছে, সেসব এলাকায় সাহায্য সংস্থাগুলো যেতে পারছে না।