আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ যৌথভাবে ‘রোহিঙ্গা সমস্যার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মানবতার জন্য, শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। অনেকে বলেন, যুদ্ধ করতে হবে। কেন যুদ্ধ হচ্ছে না? আমরা সবকিছুই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ করব। আমরা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারব এবং সফল হব আশা করি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো টেররিস্ট বা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আমরা বাংলাদেশে স্থান দেব না। তাদের আশ্রয় দেব না। রোহিঙ্গাদের যেভাবে বিতাড়িত করা হচ্ছে, সে জন্য আমরা ব্যথিত। একইভাবে রোহিঙ্গা সলিডারিটি আর্মি তাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে হত্যা করেছে, সে জন্যও আমরা ঘৃণা প্রকাশ করি।’
প্রধান আলোচক হিসেবে সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি সুদ্ধানন্দ মহাথেরো। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ২০ লাখ বৌদ্ধ বাস করছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি যা হচ্ছে, তাতে আমরা বৌদ্ধরা খুব দুঃখ পাচ্ছি। এই অত্যাচার আমরা চাই না। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, আমরা সবাই ভাই ভাই। আমরা হাজার বছর ধরে একসঙ্গে মিলেমিশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।’
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, একটা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের পর গণহত্যার শিকার হয়ে এত বেশিসংখ্যক শরণার্থী এত অল্প সময়ে অন্য দেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে—এমনটা ঘটেনি। বাংলাদেশকে এর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। নানা দিক থেকে বাংলাদেশ এই সংকট মোকাবিলা করছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসা পেয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, সত্বর এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হোক। আর মিয়ানমার সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’
আলোচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল হাসান খান, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।