সাবমেরিনে যৌনতা !
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: পারমাণবিক সাবমেরিনে জ্যেষ্ঠ সহকর্মীর সঙ্গে ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে ২০ বছর বয়সী এক নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারী কর্মকর্তা হলেন সাব-লেফটেন্যান্ট রেবেকা এডওয়ার্ডস। তিনি ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির এইচএমএস ভিজিল্যান্ট সাবমেরিনের অস্ত্র প্রকৌশলী। তাঁকে ওই সাবমেরিন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবমেরিনটি উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে থাকা অবস্থায় রেবেকা ও কমান্ডার স্টুয়ার্ট আর্মস্ট্রং (৪১) শারীরিক সম্পর্ক করেন। সাবমেরিনে কোনো ধরনের শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ। বিষয়টি বুঝতে পেরে অন্য কর্মকর্তারা তাঁদের শাস্তির দাবিতে পদত্যাগের হুমকি দেন। এ ঘটনায় গত মাসে স্টুয়ার্টকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওই সাবমেরিনে স্টুয়ার্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাইকেল সিলও অন্য আরেক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করেন বলে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করছে রয়্যাল নেভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রয়্যাল নেভিতে সাবমেরিনের ক্রুদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক একদম নিষিদ্ধ। সাবমেরিনে মূলত ‘কোনো স্পর্শ নয়’ নীতি অনুসরণ করা হয়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা একটু শিথিল হলে ২০১১ সাল থেকে নারীরা সাবমেরিনে কাজ করার সুযোগ পান। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভির একটি সূত্র জানিয়েছে, রেবেকা এডওয়ার্ডস সাবমেরিনে তাঁর কমান্ডারের সঙ্গে শারীরিক সংসর্গের কথা স্বীকার করেছেন। সাবমেরিনে যা ঘটেছে, তা খুবই খারাপ হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাব-লেফটেন্যান্ট রেবেকা এডওয়ার্ডস রয়্যাল নেভির সাবমেরিনে যোগ দেওয়ার আগে ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির স্নাতক শেষ করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর তাঁকে ওই সাবমেরিন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মাইকেল সিলের ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরেক নারী কর্মকর্তাকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দোষ প্রমাণিত হলে কমান্ডিং কর্মকর্তাদের মতো তাঁদের কঠোর শাস্তি হবে না বলে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যের কাছে ভ্যানগার্ড শ্রেণির চারটি পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ সাবমেরিন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো এইচএমএস ভিজিল্যান্ট। নিয়মিত টহলে থাকা সাবমেরিনটি যুক্তরাজ্যকে যেকোনো ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।