মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি করছে ইসরায়েল !
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযান চলছে—এ তথ্য এখন আর অজানা নেই। এমন সময়ে দেশটিতে ইসরায়েল অস্ত্র পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে মিয়ানমারের কাছে ইসরায়েলের অস্ত্র বিক্রি এবং তাদের সেনাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি আবারও সামনে এল। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঠুকেছে।
ইসরায়েলের সরকারি নথি অনুযায়ী, তারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কাছে সশস্ত্র নৌযান, বন্দুক এবং নজরদারির যন্ত্রপাতি বেচেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছে মিয়ানমারে বিশেষ বাহিনী। এর প্রতিবাদে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ৩০ অক্টোবর ইসরায়েলের পার্লামেন্টের বাইরে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে।
এ বিষয়ে মানবাধিকারবিষয়ক ইসরায়েলি আইনজীবী ইটে ম্যাক বলেন, ‘অনেক পশ্চিমা রাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রি করে। কিন্তু ইসরায়েলের যে বিষয়টি একেবারে আলাদা, তা হলো যেখানে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়, সেখানে আপনি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টকে পাবেন।’… ‘যে কোম্পানিগুলো অস্ত্র বিক্রি করছে, যে কর্মকর্তারা নীরবে এই বাণিজ্য অনুমোদন করছেন, তাঁদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। নইলে, কীভাবে তা বন্ধ হবে?’
ইসরায়েলের ওপেন ইউনিভার্সিটির গণহত্যাবিষয়ক গবেষক ইয়াইল অউরুন বলেন, ‘এই অস্ত্র বিক্রি আমাকে ও সব ইসরায়েলিকে অপরাধী বানিয়েছে।’ কারণ, সেগুলো ইসরায়েল থেকে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর প্রায় ১৩০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করার অনুমতি আছে। মানবাধিকারকর্মীদের ধারণা, গোপনে আরও দেশে ইসরায়েল অস্ত্র রপ্তানি করছে।