সর্বোচ্চ দামে গ্রামীণফোনের শেয়ার

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: তালিকাভুক্তির পর গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম। গতকাল কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় ১১ টাকা বা আড়াই শতাংশ বেড়ে ৪৪০ টাকায় উঠেছে।
২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় গ্রামীণফোন। এরপর ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ওঠে সর্বোচ্চ ৩৯৫ টাকায়। এরপর ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ৪০৯ টাকায় এবং গত ১১ অক্টোবর ৪৩৩ টাকায় ওঠে। সর্বশেষ গতকাল তা ৪৪০ টাকার সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে।
দেশের শেয়ারবাজারের সূচকের ওপর গ্রামীণফোনের শেয়ারের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারের দামের উত্থান-পতনে সূচকেও বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে। গতকাল গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন সত্ত্বেও সূচকের বড় ধরনের কোনো পতন ঘটেনি।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে গ্রামীণফোনের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১০০ টাকা বেড়েছে। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল ডিএসইতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩৩৯ টাকা। গতকাল দিন শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪০ টাকায়।
গত রোববার গ্রামীণফোনের আর্থিক বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে। তাতে উল্লিখিত তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ১৬ পয়সা। ২০১৬ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪ টাকা ৭৮ পয়সা। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৩৮ পয়সা বেড়েছে। এ কারণে বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দামও বাড়ছে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাজার যখন নিম্নমুখী প্রবণতা বা দরপতনের ধারায় থাকে, তখন অনেক বিনিয়োগকারী নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বহুজাতিক ও ভালো মানের কোম্পানিকে বেছে নেন। যেসব শেয়ারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগে ঝুঁকি কম মূলত সেসব শেয়ারের প্রতিই ঝোঁকেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম বাড়লেও গতকাল মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল স্বল্প মূলধনি মুন্নু সিরামিকস। এদিন কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৭ টাকা ১০ পয়সা বা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ টাকা ৩০ পয়সায়।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল প্রায় ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৩৬ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৩ কোটি টাকা বেশি। ঢাকার বাজারে এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক। গতকাল ডিএসইতে এককভাবে ব্যাংকটির ৪৯ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। দিন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম ৫ টাকা ২০ পয়সা বেড়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি ৫১ পয়েন্ট কমেছে। তবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে সোয়া দুই গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৮ কোটি টাকায়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ