নিবন্ধন চায় না পুরোনো রোহিঙ্গারা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: নতুনেরা নিবন্ধনের জন্য ছুটলেও পুরোনো রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের ব্যাপারে অনীহা রয়েছে। এ পর্যন্ত তিন লাখের বেশি নিবন্ধন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে পুরোনো রোহিঙ্গারা সংখ্যায় খুবই সামান্য।
গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন শুরু হয়। এর আগে ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। রোহিঙ্গারা যাতে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কাজ করছে।
অধিদপ্তরের কর্তব্যরত সহকারী পরিচালক তারেক সালমান আজ শনিবার দুপুরে জানান, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত টেকনাফ ও উখিয়ায় ৩ লাখ ১৩ হাজার ১৫১ রোহিঙ্গার নিবন্ধনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই নতুন। পুরোনোরা কম আসছে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, দুই উপজেলায় সাতটি কেন্দ্র স্থাপন করে নিবন্ধন কাজ চলছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবি এই কাজে সহযোগিতা করছে। নাম, বয়স, মা ও বাবার নাম, মিয়ানমারে ঠিকানা এবং ক্যাম্পের ঠিকানা এই নিবন্ধন কার্ডে থাকছে। এই পরিচয়পত্রের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘মিয়ানমার জাতীয় নিবন্ধন কার্ড’।
সব বয়সের রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করা হচ্ছে। তবে একেবারে ছোট এক বছরের শিশু যাদের আঙুলের ছাপ আসে না, তাদের নিবন্ধনের বাইরে রাখা হয়েছে বলে তারেক সালমান জানান।
আজ সকালে কুতুপালং রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় অবস্থিত নিবন্ধন কেন্দ্রে দেখা যায়, রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু নিবন্ধনের জন্য আসছে। আবদুস সালাম নামে একজন জানান, তিনি নতুন এসেছেন। নিবন্ধন করলে ত্রাণসহ বিভিন্ন সাহায্য পাবেন বলে তাঁকে জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এই কেন্দ্রের পাশে পুরোনো রোহিঙ্গা শিবির থাকলেও সেখান থেকে কেউ আসছে না বলে কর্তব্যরত নিবন্ধনকারীরা জানান। জাহেদ নামে পুরোনো এক রোহিঙ্গা জানান, তাঁরা ১০ বছর ধরে এই দেশে আছেন। এত দিন নিবন্ধন লাগেনি। এখন কেন লাগবে?
সহকারী পরিচালক তারেক সালমান বলেন, নতুন ও পুরোনো সব রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।
রোহিঙ্গারা যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে কিংবা বাংলাদেশের ভোটার হতে না পারে, ওই চিন্তা থেকে এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে।
গত দুই মাসে মিয়ানমার থেকে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। এর বাইরে পুরোনো রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ।