ভোট চাইলেন শেখ হাসিনা
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঈদুল ফিতরের দিন শুক্রবার সকালে সর্বস্তরের মানুষ এবং কূটনীতিক ও বিশিষ্ট জনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আগামীতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফেরানোর আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য কাজ করের যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমার নিজের কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।”
মহাজোট গত নির্বাচনের আগে দেশবাসীকে দেয়া ওয়াদার বেশি কাজ করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “আরো কাজ যেন করতে পারি, সেজন্য সবার দেয়া চাই। আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।”
কোনো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “যারা সততার সঙ্গে কাজ করেছে, উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে, তাদেরকে যেন ভোট দেন। কারো কথায় যেন বিভ্রান্ত না হন।”
বিরোধী দলের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি কার্যত প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অসাংবিধানিক সরকার দেশে আর আসবে না।”
ঈদের সকালে নানা বয়সের নানা পেশার মানুষ গণভবনে জড়ো হন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময়ের জন্য।
বেলা ১০টার পর গণভবনের সামিয়ানার নিচে ঈদ মোবারক লেখা মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে সবার সালাম গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। হাত নেড়ে শুভেচ্ছার জবাব দেন হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী।আনুমানিক ছয় বছর বয়সী একটি মেয়েকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য হাতে রজনীগন্ধা হাতে লাইনে দঁড়ানো দেখা যায়। তার কাছ থেকে ফুল নিয়ে ফিরতি শুভেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রী তার হাতে গুঁজে দেন চকলেট।
শুভেচ্ছা জানাতে আসা নারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এক ঘণ্টার বেশি সময় তিনি দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, ফারুক খান, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিলকে মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশেই দেখা যায়।
ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে এসএসএফ সদস্যরা সাধারণ মানুষকে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর শৃঙ্খলভাবে মঞ্চের সামনে দিয়ে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেন। সাংসদ অপু উকিল ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখরকেও তাদের সহযোগিতা করতে দেখা যায়।
সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর বেলা সাড়ে ১১টায় কূটনীতিক ও বিচারপতিদের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।অতিথিরা ছাড়াও প্রতিবন্ধীসহ এক হাজারেরও বেশি দরিদ্র মানুষের জন্য এবার ঈদে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয় গণভবনে।
প্রধানমন্ত্রী এবার ঈদ করেন তার মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল এবং নাতি-নাতনিদের সঙ্গে নিয়ে। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি স্ত্রী সন্তানসহ দেশে এলেও ঈদের কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। এ মাসেই তার আবারো দেশে ফেরার কথা রয়েছে।