ধরা পড়েছে শৌচাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার শৌচাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ৩৩ দিন পর হত্যা মামলার আসামি রুবেল মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল আটটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর আমতলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুবেল পূর্বধলার খলিশাউড়া ইউনিয়নের গৌড়াকান্দা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।
রুবেল ১১ অক্টোবর ভোরে পূর্বধলা থানার শৌচাগার থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিরঞ্জন দেব জানান, ‘সেদিন ভোর চারটার দিকে আসামি রুবেল শৌচাগারে যান। পরে শৌচাগারের বায়ু চলাচলের ফোকর দিয়ে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। ফোকরের লোহার রডগুলোতে জং ধরায় ও আসামির শরীর চিকন হওয়ায় তিনি সহজে পালাতে পারেন।’
ওই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কর্তব্যরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এস এম মোজাম্মেল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) তপন চন্দ্র বাকালী ও আসামির সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য তফাজ্জল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পূর্বধলার ওসি অভিরঞ্জন দেব বলেন, রুবেল অত্যন্ত ধুরন্ধর ও ভয়ানক প্রকৃতির আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে নেত্রকোনায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া রুবেল পূর্বধলার গায়লাপাড়া গ্রামের কাঁকন মিয়া (২৫) হত্যাকাণ্ডের আসামি। গত ২৫ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে পূর্বধলা-ডেওটুকোন সড়কে কাঁকনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাঁকনের মৃত্যু হয়। এ খবর শুনে কাঁকনের বাবা আবুল কাশেমও (৬৫) ওই রাতে মারা যান।
পরে কাকনের বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। ২৮ আগস্ট রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ময়নুদ্দিন রহমান (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর নামে দুর্গাপুর থানায় আরেবটি হত্যা মামলা রয়েছে।