বিমান চলাচলে বাংলাদেশ ক্যাটাগরি-১ উন্নীত হবে

বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মো. ফারুক খান farukh khanসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে বিমান চলাচলে বাংলাদেশ ক্যাটাগরি-১ উন্নীত হতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মো. ফারুক খান।
বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
মন্ত্রী বিমান চলাচলের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, আগামী ১০ বছর সিভিল এভিয়েশন কেমন হতে পারে তার একটি অর্গানোগ্রাম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অনুমোদন হলে এভিয়েশনের বর্তমান জনবলের দ্বিগুণ অর্থাৎ ১২ হাজার জনবল হবে।
ফারুক খান বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশের বিমান দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেতে হলে আমাদের দেশের ওপর দিয়ে যেতে হয়। এজন্য বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে। এ লক্ষে সিভিল এভিয়েশন তৈরী করা হচ্ছে। এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স করার প্রস্তাব করা হয়েছে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেলে তা শুরু হবে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, আগামী ১০ বছরে পৃথিবীতে ১০ লাখ পাইলটের প্রয়োজন হবে, এজন্য একটি এভিয়েশন কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানে দুই বছর মেয়াদে পড়ার জন্য যে টাকা লাগবে তার জন্য একটি ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বিগত ২/৩ বছরে এভিয়েশন সেক্টরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। আমরা দুটি বিমান পেয়েছি। আরও দুটি পাব। ‘মালিন্দ এয়ার’ নামে মালয়েশিয়ান-ইন্দোনেশিয়ান একটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের মাধ্যমে বিমান চলাচল শুরু করতে চায়। চলতি মাসের ২৯ তারিখে মায়ানমারের সঙ্গে দু’দেশের সরকারের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। আমাদের রাডার সিস্টেমকে উন্নত করার জন্য পিপিরি মাধ্যমে একটা প্রস্তাব করা হয়েছে, জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ফেডারেল এভিয়েশন অথোরিটি (এফএএ) আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে একটি অডিট টিম পাঠাবো। তারা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সার্টিফিকেট দেবে। আমরা যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি তা বাস্তবায়ন হলে স্টান্ডার্ড একটা মান তৈরী হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত হতে পারব।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ