সেনাবাহিনী কেন বিচারিক ক্ষমতা পাবে ?

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী কেন বিচারিক ক্ষমতা পাবে। ভোটের সময় সেনাবাহিনী কেবল অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তা করবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাবির বিষয়ে সরকারের মনোভাব জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ার বিষয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তিনি। তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দলীয় অবস্থান জানিয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশন চাইলে ভোটে ইভিএম ব্যবহার করবে, না চাইলে নেই। এটা ইসির সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে মোতায়েন করা হয়েছিল। এতে বিএনপি লাভবান হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা তখন ভোটের সময় ছিলেন বাগানে। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী ভোটের সময় সিভিলদের সহায়তা করবে। তাদের কেন বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে?’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দলটির কোনো লাভ হয়নি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না—বিএনপি চেয়ারপারসনের এমন বক্তব্যকে অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনো কারচুপি করেনি।

গতকাল রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। তিনি নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন করার দাবি ও ইভিএম ব্যবহার না করার দাবি জানান।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ