হারমোনিয়ামের ভিতর ইয়াবা !

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা। এসএ পরিবহনের শান্তিনগর কুরিয়ার সার্ভিসের কাউন্টার। এক ব্যক্তি আসেন কাউন্টারে। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তিনি বুঝে নেন দুটি হারমোনিয়াম। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি গোয়েন্দা দল। পরে তল্লাশি করে দেখা যায়, যে যন্ত্র দুটিতে সারেগামা সুর বের হওয়ার কথা, সেখানে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, তাদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল যে কক্সবাজার থেকে এসএ পরিবহনের শান্তিনগর কুরিয়ার সার্ভিসের কাউন্টারে পার্সেলের মাধ্যমে দুটি হারমোনিয়াম পাঠানো হয়েছে। হারমোনিয়ামে ইয়াবা লুকিয়ে রাখা হয়েছে। কাউন্টার থেকে হারমোনিয়াম দুটি গ্রহণ করে নিয়ে যাওয়া হবে কাকরাইলে একটি প্রকাশনা সংস্থার কার্যালয়ে। পরে সেখানে দুজন ব্যক্তি এসে হারমোনিয়াম দুটি নিয়ে যাবেন।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (উত্তর) খোরশিদ আলম বলেন, হেলাল নামে এক ব্যক্তি হারমোনিয়াম দুটি পাঠিয়েছেন। প্রাপক ছিলেন জসিম নামের এক ব্যক্তি। চক্রটিকে ধরার জন্য গতকাল ভোর থেকে অধিদপ্তরের ঢাকা গোয়েন্দা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ফজলুর রহমান খান, পরিদর্শক রুকনুজ্জামানসহ সাত সদস্যের একটি দল এসএ পরিবহনের ওই কাউন্টারে অবস্থান নেয়। দুপুরে এক ব্যক্তি নিজেকে জসিম পরিচয় দিয়ে হারমোনিয়াম দুটি সংগ্রহ করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করে হারমোনিয়াম দুটি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে প্রতিটি হারমোনিয়ামে দুটি করে প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় ১০ হাজার করে ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জসিম পরিচয়ে হারমোনিয়াম নিতে আসা ব্যক্তির নাম ইসহাক হোসেন। তিনি কাকরাইলে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাঁর দায়িত্ব ছিল হারমোনিয়াম দুটি নিয়ে গিয়ে শাহীন ও জসিম নামে দুজনের কাছে হস্তান্তর করা। পরে ইসহাকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শান্তিনগর থেকে শাহীন ও জসিমকে আটক করা হয়। পার্সেলের প্রেরক হেলালকে আটক করতে অভিযান চলছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ