৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল তারা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: এক লাখ টাকা ঋণ পেতে সঞ্চয় করতে হবে ১৫ হাজার টাকা। এভাবে লোভ দেখিয়ে গত এক মাসে ১ হাজার ১৬২ জন সদস্যের কাছ থেকে ৩৮ লাখ টাকা আমানত সংগ্রহ করে উধাও হয়ে গেছে ড্রিম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া মাঠকর্মী নিয়োগের নামে ২৫ জন নারীর কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা জামানত সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
খুলনা নগরের মেট্রোপলিটন কলেজ সড়কের একটি ভাড়া বাসায় সেপ্টেম্বর মাস থেকে কার্যক্রম শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। গত বুধবার সংস্থার অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের দেখতে না পেয়ে ভুক্তভোগীরা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এ সময় সেখানকার চার কর্মচারীকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। রাতে পুলিশ এসে ওই চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী লাকী আকতার বাদী হয়ে নগরের সোনাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন রিমন খান, মাসুম বিল্লাহ, রাব্বি ইসলাম। কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ওই তিনজনই মূলত প্রতিষ্ঠানটির মালিক। তবে তাঁদের মূল পদবি বলতে পারেননি। মামলার অন্য আসামিরা হলেন আরিফ, আরিফুল ইসলাম, আবু আনসার, নেসার হাওলাদার, তৌহিদুল ইসলাম, শেখ জাহাঙ্গীর কবিরসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-সাতজন। এর মধ্যে শেষের চারজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, প্রায় এক মাস আগে ড্রিম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লিমিটেড নামে একটি সঞ্চয়ী ও ঋণদান প্রতিষ্ঠান চালু হয়। তারা ২৫ জন নারীকে মাঠকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়। তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জামানত সংগ্রহ করা হয়।
এ ছাড়া গত এক মাসে প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ১৬২ জন সদস্য সংগ্রহ করেছে। তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে পাস বইয়ের মাধ্যমে কিস্তি আদায় করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি নভেম্বর মাসের ২২ তারিখ থেকে সদস্যদের ঋণ প্রদানের আশ্বাস দিয়েছিল। এ জন্য ঋণের কিস্তি ও জামানত বাবদ ১ হাজার ১৬২ জনের কাছ থেকে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা আদায় করেছে। এ ছাড়া মাঠকর্মীদের কাছ থেকে চাকরির জামানত বাবদ নিয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমতাজুল হক বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতেই এই প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানের চার কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করতে পারলে টাকা উদ্ধার করা যাবে।