ঈদেও মেঘের আকাশে এক চিলতে রোদ্দুর নেই

MEGHprofসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আনন্দঘন ঈদের দিনেও নিরানন্দ ছিল নিহসসাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির একমাত্র পুত্র মেঘ। আন্দময় ঈদের কোন আন্দই তাকে স্পর্শ করেনি। এক সময়ের ঈদের আনন্দের স্মৃতিগুলো মনে করেই সময় অতিবাহিত করেছে। পিতা-মাতা হারানোর বেদনা মেঘের হৃদয়ে ডুকরে ডুকরে কেঁদেছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বেসরকালী টেলিভিশন মাছরাঙ্গা’র বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি রাজাবাজারের নিজ বাসভনে খুন হন।
মেঘ গতকাল ঈদের নামাজ আদায় করেছে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাস মসজিদে মামা নওশের আলম রোমানের সঙ্গে। রোমান এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, আমরা তিন ভাই ও মেঘের জন্য একই রকম পাঞ্জাবি বানিয়েছি। মেঘকে নতুন জামা কাপড় ও জুতা কিনে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এবার ঈদে অনেক কাপড় উপহার পেয়েছে মেঘ।
রোমান আরো বলেন, ঈদের অনুভূতি কী তা মেঘ জানে না। তবে নতুন কেনা জামা-কাপড় পড়ার পর হঠাৎ অন্য মনষ্ক হয়ে যায়। বাবা-মাকে খুঁজে ফেরে। মেঘ গতকাল দুপুরে নবাবপুরে তার দাদীর বাসায় গিয়ে ছিল। বিকেলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজিমপুর কবরস্থানে গিয়ে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেছে।
কেমন কেটেছে মেঘের এবারের ঈদ তা জানতে চাইলে মেঘের মামা রোমান বলেন, ঈদের ছুটিতে প্রায় সব আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় মেঘকে নিয়ে যাই। এবারও তাই করেছি। ওর স্কুলের বন্ধুরা দেশের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। বন্ধুদের সঙ্গে মোবাইলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে। ঈদের সময় যাতে মেঘের মন খারাপ না থাকে সেজন্য আমরা চেষ্টা করেছি। মেঘের বয়স ৭ বছর। আগের চেয়ে মেঘের মানসিক অবস্থা অনেক ভালো বলে জানান রোমান।
সাগর-রুনির হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে রোমান বলেন, সাগর-রুনির মতো জনপ্রিয় দুই সাংবাদিক তাদের বাসায় খুন হওয়ার পর দেড় বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। অথচ এ মামলার প্রকৃত একজন আসামিও চিহ্নিত হয়নি। এটা নিহতের পরিবারের জন্য ভীষণ কষ্টের।

রোমান বলেন, আসামিদের ডিএনএ টেস্ট করার পরও মামলার অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে জানা যায়নি। প্রশাসন থেকেও কিছু জানানো হয়নি। তবে র‌্যাব ফোন করে মাঝে মাঝে মেঘের খোঁজ খবর নেয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ