সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে দেড় বছরেও অগ্রগতি নেই
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার কিনারা হয়নি দেড় বছরেও। গ্রেফতার হয়নি প্রকৃত একজন আসামিও। আর দু’দফা হাত ঘুরে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া র্যাবের কার্যক্রমে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা। নিহতের পরিবার ও গনমাধ্যম কর্মীদের এমন সব অভিযোগের জবাব দিতেও ব্যর্থ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।
মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যার ১৮ মাস অতিবাহিত হচ্ছে আজ সোমবার। দেশের জনপ্রিয় এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যার দেড় বছরেও প্রকৃত খুনিরা গ্রেফতার হয়নি। উদঘাটিত হয়নি মামলার প্রকৃত রহস্য। ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের হাত ঘুরে ডিবিতে এবং প্রায় এক বছর আগে র্যাবের হাতে এই মামলার তদন্তভার ন্যাস্ত হওয়ার পরও কোন অগ্রগতি হয়নি। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে এখন গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত আসামী গ্রেফতারের নামে পুলিশ, সিআইড, ডিবি ও র্যাব বিগত সময়ে কিছু নাটক উপস্থাপন করেছে। দীর্ঘ দিনে এই নির্মম হত্যাকান্ডের কোনো কূল-কিনারা না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তাদের পরিবার। সাগর-রুনি গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি তাদের রাজাবাজারের ভাড়ার বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা র্যাব এই পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে। যার মধ্যে নিহতদের রাজাবাজারের বাসার দারোয়ান এনামূলও রয়েছে। গেফতার হওয়া অন্য সাতজন হলেন- তানভীর রহমান, বাড়ির অপর এক দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল, সন্দেহভাজন ডাকাত রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ ও সাঈদ।
এই গ্রেফতারকে অগ্রগতি হিসেবে দেখছে না নিহত সাগর-রুনির পরিবার। মামলার বাদি রুনির ভাই নওশের রোমানের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘পজেটিভলি দেখার কোনো কারণই নেই। এগুলো ‘অ্যাচিভমেন্ট’ নয়। এই গ্রেফতার সম্পূর্ন লোক দেখানো।’
নওশের রোমান বলেন, ‘সাগর-রুনির মত জনপ্রিয় দুই সাংবাদিক তাদের বাসায় খুন হওয়ার পর ইতিমধ্যে ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে। অথচ এই মামলার প্রকৃত একজন আসামিও ডিটেক্টই হয়নি। এটা নিহতের পরিবারের জন্য ভীষন কষ্টের।’ নওশের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘র্যাব এই মামলার তদন্তভার পেয়ে কিছুদিন পর পর একটা নতুন নাটক করছে। আর আমরা সবাই দর্শক হয়ে তা দেখছি। শুধুমাত্র কালক্ষেপন করার লক্ষ নিয়ে সাগর-রুনির ডিএনএ পরীক্ষা করতে আমেরিকাতে পাঠানো হয়েছে।’