সমর্থন ধরে রাখা আ.লীগের চ্যালেঞ্জ
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ২০১৮ সালের শেষের দিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনের আগে জনগণের সমর্থন ধরে রাখাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সামনে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
ফরিদপুরে এক যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিমত ব্যক্ত করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে এ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা যুবলীগ।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ২০১৮ সালের শেষের দিকে আমরা জাতীয় নির্বাচনের সম্মুখীন হব। এ সময়ে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জনগণের এ সমর্থন আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদের আচার-আচরণ ও ব্যবহারে জনগণ যেন কষ্ট না পায়, ব্যথিত না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। আমাদের অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে গিয়ে জনগণের সমর্থন নিতে হবে।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা যখন ২০২১ ও ২০৪১ সালে যথাক্রমে মধ্যম আয়ের দেশ ও উন্নত দেশে পরিণত করার রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন, তখন এ দেশের বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা হাসিঠাট্টা করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আট বছর আগে যেখানে মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল ৫০০ ডলার এখন তা তিন গুণের বেশি বেড়ে ১ হাজার ৬১০ ডলার হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে কতটা দূরদৃষ্টি জ্ঞান ধারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে না, যদি শেখ হাসিনার সরকার বারবার না আসে। আগে আমাদের ধারণা হয়েছিল, পরপর তিনবার এক নেতা ও এক দলকে এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না। কিন্তু আজকের এ বিশাল সমাবেশ দেখে আমার এ প্রত্যয় হয়েছে, তিনবার কেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে এ দেশের জনগণ পর পর ছয়বার ক্ষমতায় বসাবে।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুরকে ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। অনতিবিলম্বে এ ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে। আটটি ডিভিশনাল হেড কোয়ার্টারের মধ্যে ফরিদপুর হবে সবার সেরা। পাশাপাশি ফরিদপুর সিটি করপোরেশন হচ্ছে। এর জন্য ফরিদপুর পৌরসভার সীমানা বাড়িয়ে আগের চেয়ে চার গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
‘আজ থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিলাম’ ঘোষণা দিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘শেখ হাসিনার দলকে না জেতানো পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়ব না। নির্বাচনের মাত্র এক বছর বাকি আছে। এ সময় মিছিল করতে করতে পার হয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেসাম হোসেন ওরফে বাবর। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম ফোয়াদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ফরিদা ইসলাম, সদর যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, শহর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চৌধুরী মো. হাসান, সদর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. এমার হক, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ওরফে ফারহান।