বিসিএস ছাড়া ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে রিট

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে কাউকে অন্তর্ভুক্ত না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানিতে তিনজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) নিয়োগ করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার শুনানিকালে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে তিনজনের নাম ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম মো. ফজলুল হক ও আইনজীবী কামাল উল আলম।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আইনুন নাহার ও চিত্রা রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

সালাহউদ্দিন দোলন বলেন, জাতীয়করণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ক্যাডারের কয়েকজন শিক্ষক রিট করেন। এতে বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে কাউকে অন্তর্ভুক্ত (নিয়োগ, পদোন্নতি ও আত্তীকরণ) না করার ও জাতীয়করণ করা কলেজের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। বৃহস্পতিবার শুনানির একপর্যায়ে ওই তিনজনকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন আদালত।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, ২০০০ সালের রুলস অনুযায়ী সরকার জাতীয়করণ করা কলেজের শিক্ষকদের আত্তীকরণ করছে। এর বৈধতা নিয়ে কয়েকজন রিট করে। আদালত তিনজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করে ৫ ডিসেম্বর শুনানির জন্য পরবর্তী দিন রেখেছেন।

২০০০ সালের আত্মীকরণ বিধিমালা অনুসরণে জাতীয়করণ করা বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকরণ করে আসছে সরকার। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে চাকরিরত কলেজশিক্ষকেরা এমন সিদ্ধান্তে আন্দোলন করে আসছেন। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি জাতীয়করণ করা কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস ক্যাডার পদমর্যাদার শিক্ষকদের সমান পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা না দেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতিও পালন করেছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ