মোবাইলে প্রেম অতঃপর ধর্ষণ, শেষে হত্যা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে (২১) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিছুদিন ধরে এ দুজনের মধ্যে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বিয়ের কথা বলে তাঁকে মঠবাড়িয়ায় নিয়ে এসেছিলেন সিরাজুল।
গতকাল শনিবার বিকেলে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার খেজুরতলা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাদিয়ার বাড়ি বরিশাল নগরে। তাঁর বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, সাদিয়া বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির প্যাথলজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত ১৯ নভেম্বর কলেজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে ২২ নভেম্বর তিনি বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, পুলিশ মেয়ের মোবাইলের কললিস্ট থেকে দেখতে পায়, গত কয়েক দিন ধরে একটি নম্বরে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানায়, ওই নম্বরটি মঠবাড়িয়ার সিরাজুল ইসলাম নামের এক ছেলের। এরপর তিনি মেয়ের বান্ধবীদের সঙ্গে কথা বলেও জানতে পারেন, সিরাজুলের সঙ্গে সাদিয়ার একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল ওহাব জানান, গতকাল শনিবার দুপুরে আলমগীর হোসেন সিরাজুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে পাঁচজনকে আসামি করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় অপহরণের মামলা করেন। বিষয়টি মঠবাড়িয়ার পুলিশকে জানানো হয়। বিকেলেই গ্রেপ্তার হয় সিরাজুল। সিরাজুল সাদিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেন। তবে লাশ কী করেছে, সে বিষয়ে একেকবার একেক রকম তথ্য দিচ্ছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার সিরাজের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, মুঠোফোনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে ঘটনার ১৫ দিন আগে সিরাজের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২০ নভেম্বর বিয়ের কথা বলে সিরাজ মেয়েটিকে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়ায় এনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষণের বিষয়টি ওই ছাত্রী ফাঁস করার হুমকি দিলে তাঁকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেন।