পুনরায় এলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সোমবার গণভবনে ৬১টি জেলার জেলা পরিষদের প্রশাসকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রের হাতে শুধু পলিসি তৈরি, মনিটরিং ও অর্থ বরাদ্দের দায়িত্ব থাকবে। বাকি সমস্ত ক্ষমতাগুলো একেকটি স্তরে আমরা ছেড়ে দেব।”
জনগণের কাছে সেবা আরো কার্যকরভাবে পৌঁছে দিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা সুষম উন্নয়নে বিশ্বাস করি। জেলাভিত্তিক উন্নয়ন করলে কিভাবে মানুষের জীবন উন্নত হবে, আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “আমরা ভিন্নধর্মী দেশ চালাতে চাই না। উনারা হাওয়া ভবন না খুলে ভিন্ন নামে ভিন্ন ভবন খুলে দেশ চালাবেন। ভিন্নভাবে গ্রেনেড হামলা করবেন, দুর্নীতি করবেন- এটাই তাদের ইচ্ছা।
“লোকে বলে বিএনপির দুই গুণ- দুর্নীতি ও মানুষ খুন।”
“প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি (খালেদা জিয়া) গুষ্টিশুদ্ধ কালো টাকা বানিয়েছেন, সেগুলো সাদা করছেন, টাকা-পয়সা লুট করেছেন। বিদেশে যে কি রেখে এসেছেন উনিই ভালো জানেন। মাঝে মধ্যেই তো বিদেশ যান।”
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মা সেতু না হওয়ার জন্য ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে’ দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে নাকি দুটি পদ্মা সেতু করবে। তাহলে ক্ষমতায় থাকতে তারা কী করেছে?
সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ‘ফিরিয়ে’ আনা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে।
“তারা হুমকি দিচ্ছেন আমার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ আর কত কষ্ট ভোগ করবে? অনিশ্চয়তার মুখে থাকবে?”বিরোধী দলের নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনা আবারো বলেন, “অন্য দেশে সংবিধান মোতাবেক যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার মতো সাহস আমাদেরই আছে। আমাদের কোনো দুর্বলতা নেই।”
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৯৬ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা মহাজোট সরকারের সময় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বিশদভাবে তুলে ধরেন।
পাশাপাশি বিগত চারদলীয় জোট সরকারের বিভিন্ন ‘অনিয়ম-দুর্নীতির’ চিত্র তুলে ধরে তার সমালোচনাও করেন তিনি।
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দীকী, বিমানমন্ত্রী ফারুক খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেলিন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এই সভায় ছিলেন।