আমিনুলসহ ২৪ জনের রিমান্ড শুনানি ১০ ডিসেম্বর
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বিস্ফোরক আইনের পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ২৪ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন।
রমনা ও শাহবাগ থানায় করা পৃথক দুই মামলায় গ্রেপ্তার ২৪ জনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে ২০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত ১০ ডিসেম্বর রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ঠিক করেন।
গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় শাহবাগ ও রমনা থানাধীন এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হাইকোর্টের কদম ফোয়ারার সামনে থেকে আমিনুল হক গ্রেপ্তার হন। পুলিশের কাজে বাধা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। রমনা থানার মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবীব-উন-নবী খানসহ ৬২ জনকে আসামি করা হয়। আর শাহবাগ থানার মামলাতেও হাবীব-উন নবী-খানসহ ৬০ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে, রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ১৮ জনকে এবং শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৬ জনকে।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহ বলেন, আমিনুল হকসহ গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের শাহবাগ থানার মামলায় ১০ দিন এবং রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন ভাটারা যুবদলের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ইমদাদুল হক, যুবদল নেতা ইউসুফ হোসেন বাবু, সাইফুল ইসলাম কবীর, মইনুল ইসলাম, চান মিয়া, মনোয়ার হোসেন, ইরফান হোসেন সানি, নাসির উদ্দিন মিলন, মো. কামাল, মো. আবু তাহের, রবিউল আওয়াল, গোলাম রহমান সজল, মো. আলামিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. সিয়ামুল হক, মো. হাসান খান, সুমন হক, মো. টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান উজ্জ্বল এবং নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম।
শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেছেন বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাসেল, লক্ষ্মীপুর জেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নুর নবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলের ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার অমিত হাসান এবং ছাত্রদল নেতা মো. সোহেল রানা ও মো. নাসির উদ্দিন।