আইসিসির সূচিতে বাংলাদেশের লাভ
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ক্রিকেটের নতুন সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সব ধাপ পার হয়ে পূর্ণাঙ্গ সূচিটা সবার কাছে পৌঁছাবে আগামী জুন নাগাদ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ক্রিকেট বোর্ডগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সভায় আরেকটু ভালোভাবে পরখ করে দেখা হবে ক্রিকেটের আগামী চার বছরের ভবিষ্যৎ। তবে প্রাথমিক একটা ধারণা এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এ থেকেই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ সূচিতে লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশ।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো প্রস্তাবিত সূচিটা প্রকাশ করেছে। ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত বিভিন্ন দল কটি ম্যাচ খেলবে কিংবা কোন দলগুলো বেশিবার মুখোমুখি হবে, সে ধারণা সেখান থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। কিংবা নতুন সূচিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোন দলগুলো, আপাতদৃষ্টিতে সেটাও টের পাওয়া যাচ্ছে।
টেস্ট
প্রথম ৯টি দলের জন্য দুই বছরের একেকটি চক্র সৃষ্টি করা হয়েছে এ সূচিতে। টেস্ট ও ওয়ানডের চক্র অবশ্য একই সময়ে শুরু হচ্ছে না। ২০১৯ সালের আগস্টেই শুরু হচ্ছে টেস্টের সূচি। দুই বছরে একটি দল ৬টি করে সিরিজ খেলবে। সিরিজগুলো ২ ম্যাচ থেকে ৫ টেস্ট পর্যন্ত লম্বা হতে পারবে। এক ম্যাচের কোনো সিরিজ আর খেলা সম্ভব হবে না। কোনো বছর দুটি সিরিজ দেশে খেললে, পরের বছর দেশের বাইরে খেলে আসতে হবে ২টি সিরিজ।
এত সব অঙ্ক কষে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ভাগ্যে ৪ বছরে ৩৫টি টেস্ট জুটেছে। সংখ্যাটি যে আশাজাগানিয়া, সেটা দুটি তথ্যে বুঝিয়ে দেওয়া যাক। প্রথমত, বর্তমান সূচিতে ৫ বছরে ৩৩ টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ নতুন সূচিতে বছরে ২টি করে বাড়তি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। টেস্ট ম্যাচের সংখ্যায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে মাত্র তিনটি দেশ। কোন তিনটি দেশ, সেটা না বললেও বোধ হয় চলছে, তিন মোড়ল বলে পরিচিতি যাদের। দক্ষিণ আফ্রিকাও বাংলাদেশের চেয়ে ৩ টেস্ট কম খেলছে নতুন সূচিতে।
ওয়ানডে
ওয়ানডের ক্ষেত্রে নিয়মটি রাখা হয়েছিল প্রতি দুই বছরে ১২ দলের যেকোনো আটটি দলের সঙ্গে সিরিজ খেলা হবে। ২০২০ সালের মে মাস থেকে প্রযোজ্য হবে এ সূচি। এ পদ্ধতিতে পাওয়া পয়েন্টের ভিত্তিতে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে দলগুলোকে। চাইলে এর বাইরেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে পারবে দলগুলো। সূচিতে ২০২২ সালের মে মাস থেকে ৮ মাস ফাঁকা রাখা হয়েছে এ উদ্দেশ্যে। এ সময়ে খেলা ওয়ানডের জন্য কোনো পয়েন্ট পাবে না দল।
আপাতত সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ ৪৫টি ওয়ানডে খেলবে। সবচেয়ে বেশি ৬২টি ওয়ানডে খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের কপালে জুটেছে ৬১টি ওয়ানডে। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা ৪৮টি খেলার সুযোগ পাচ্ছে। ১৩ দলের মাঝের সবচেয়ে কম খেলার সুযোগ পাচ্ছে পাকিস্তান, ৩৮টি।
টি-টোয়েন্টি
নতুন সূচির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক, টি-টোয়েন্টিকে আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রায় দলই ওয়ানডের সমসংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলবে এবার। সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলছে ভারত, ৬১টি। বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার সমান ৪২টি ম্যাচ খেলবে। আয়ারল্যান্ড অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পাচ্ছে (৪৪)।