অন্য কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই: কাদের
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে এল কি এল না, এতে সরকারের কোনো দায় নেই। তারা না এলে গণতন্ত্রের চলার পথে কোনো বাধা হবে না। পার্লামেন্টও চলবে, সরকারও থাকবে। এর বাইরে অন্য কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই, এটাই শেষ কথা।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনে স্বামী বিবেকানন্দ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই ২০১৪ সালের নির্বাচনের পথে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না এলে কি নির্বাচনের ট্রেন থেমে থাকবে? তারা না এলে, তাতে গণতন্ত্রের দোষ কী? নির্বাচন সম্পর্কে সংবিধানে যা আছে, সেভাবে এবারও নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, এর বাইরে অন্য কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই, এটাই শেষ কথা।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতসহ অন্য গণতান্ত্রিক দেশে কোনো দল নির্বাচনে এল কি এল না, এর দায় নেওয়ার কি কোনো সুযোগ আছে? এই দায় আওয়ামী লীগেরও নেই। আসলে আসুক, না আসলে না আসুক—তাতে কি আসে-যায়?’
সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারবিরোধীদের একটি অপপ্রয়াস আছে যে হিন্দুদের বাড়ি, হিন্দুদের মন্দির যদি আক্রমণ করা যায়, তাহলে এই হামলার ব্যর্থতার জন্য সরকারকে দায়ী করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিনষ্ট করা যাবে। তিনি বলেন, এগুলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর আগের ঘটনাগুলোর বিচার হচ্ছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা মামলার বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। সত্যকে চাপা দিয়ে রাখা যাবে না। সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। এখানে যদি আওয়ামী লীগের লোকও থাকে, তাদেরও পার পাওয়ার কোনো উপায় নেই।
নির্বাচন সামনে রেখে হিন্দুবাড়িতে আক্রমণকারীদের চিনে রাখার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের ভুল থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের ভুল সংশোধনের সাহস আছে। আমরা করছি, করব। কিন্তু যারা আজকে মুখোশ ধারণ করে আপনাদের আপন হতে চায়, তাদের চিনে রাখুন। এটা আমার অনুরোধ।’
অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারত বাংলাদেশের বহু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। গত পাঁচ বছরে ভারত সরকার বাংলাদেশে ১১১ কোটি টাকা মূল্যমানের ২৪টি প্রকল্প শেষ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের জানাতে পেরে খুশি যে শুধু ২০১৮ সালে আমরা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার ৬৫টি প্রকল্প শেষ করতে পারব।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এখন সোনালি সম্পর্কে চলছে। এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।