রেজিস্ট্রার ভবনে তথ্য নিতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তাদের দেরি করে আসার অভিযোগের তথ্য অনুসন্ধানে যাওয়ায় এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। আজ রোববার সকালে দৈনিক ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক কবিরুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করা হয়।
কবিরুলের অভিযোগ, সেকশন অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন, মো. আহসানুল কবির ও রেজিস্ট্রারের ব্যক্তিগত সহকারী শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তাঁরা নিজেদের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পরিচয় দেন। তবে নিজাম উদ্দিন লাঞ্ছিত করার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
কবিরুল ইসলাম বলেন, তাঁর কাছে প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত দেরি করে অফিসে আসার অভিযোগ ছিল। সপ্তাহে দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণার পর থেকে সকাল নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত তাঁদের অফিস করার কথা। তিনি এ বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ২০৬ নম্বর কক্ষে যান। ওই কক্ষে নিজাম ও আহসানুল কবিরের বসার চেয়ার-টেবিল থাকলেও তাঁরা সেখানে ছিলেন না। সেখান থেকে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি চলে যান।
কবিরের অভিযোগ, অন্য একটি কক্ষ ঘুরে ফেরার সময় নিজাম, আহসানুল ও গিয়াস উদ্দিন তাঁর পথরোধ করে এখানে আসার কারণ যানতে চান। নিজেদের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পরিচয় দিয়ে তাঁর কলার ধরে তাঁদের বিরুদ্ধে নিউজ করার সাহস কে দিয়েছে তা জানতে চান। মোবাইল কেড়ে নেন। তাঁকে ধরে রেজিস্ট্রারের কক্ষে নিয়ে যান। সেখানেও এভাবে সংবাদ সংগ্রহ করতে তাঁকে মানা করা হয়।
খবর পেয়ে অন্য সংবাদকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার বিচার দাবি করেন। কবিরুল লিখিতভাবে উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করেন। বিচারের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান তাঁদের আশ্বস্ত করেন।
জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সাংবাদিক কক্ষে ঢুকে নিজের পরিচয় না দিয়েই ছবি তুলতে শুরু করেন। কক্ষের অন্য কর্মকর্তারা জানতে চাইলে পরে পরিচয় দিয়েই সেখান থেকে চলে যান। আমি কিছুক্ষণ পরে এসে ঘটনা শুনে তাঁকে খুঁজে বের করে এর কারণ জানতে চাই। তবে কলার ধরা বা মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার বিষয়গুলো বানানো।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। বলা হয়, একজন সাংবাদিক বলে নন, কোনো কর্মকর্তা একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর সঙ্গেও এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না। সাংবাদিকের পেশাগত কাজে বাধা দেওয়া নিজেদের দায়িত্ব অবহেলা ঢাকার চেষ্টা।