দুই দলের জনপ্রিয়তা তলানিতে: বি. চৌধুরী
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে নেমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে ঢাকার পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বি চৌধুরী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ জন দল (বিজেডি) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কোথায় নেমেছে বুঝতে পারেন? এবারে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছে শতকরা ২৪ ভাগ ভোট। আর বিএনপির আরও করুণ অবস্থা। তারা পেয়েছে শতকরা ১১ ভাগ ভোট। এখন রংপুরের নির্বাচন তো দেখিয়ে দিল এই দুই দলের জনপ্রিয়তা তলানিতে নেমে গেছে। একদম ন্যূনতম পর্যায়ে নেমে গেছে।’
জনগণের অধিকার প্রসঙ্গে বি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম তা পাইনি। অন্ন, বস্ত্রসহ সব মৌলিক অধিকার, জীবনের নিরাপত্তা—একটাও দিতে পারেনি। চাল-ডাল, নুন-পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। চারদিকে সব লুটপাট। জীবনের নিরাপত্তা নেই। গুম-খুন। গুরুত্বপূর্ণ লোকজনসহ ৫৫ জন গুম হয়ে গেল। শিক্ষায় নকলবাজি, প্রশ্ন ফাঁস, প্রাইমারি স্কুলের প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়, ভাবা যায়? কী বিচিত্র দেশ এটা!’
বিকল্পধারার সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, দুর্নীতি ভয়াবহ, দু-একজন ব্যতিক্রম ছাড়া সরকারি দলের নেতা-কর্মী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী—এঁদের ঘরে ঘরে দুর্নীতি।’
আলোচনায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার দুটি ফ্লাইওভার, একটা ফোর লেন সড়ক আর পদ্মা সেতু করার অহংকার করে। বলছেন, উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের ব্যাংকগুলো লুটে তছনছ, খালি হয়ে গেছে, এই কি তার নমুনা?
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, এই বিজয়ের প্রত্যাশায় কী লাখো মানুষ জীবন দিয়েছে? সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে না। সরকার বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কী সত্যিই এগিয়েছে না পিছিয়েছে?
সভাপতির বক্তব্যে এস এম শাহজাহান বলেন, আন্দোলন ছাড়া এই সংকট উত্তরণের কোনো বিকল্প নেই।
আলোচনায় সভায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার (বীর প্রতীক), বিজেডির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।