যুক্তরাষ্ট্রের পথে গুয়াতেমালা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: এবার যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটছে গুয়াতেমালা। ইসরায়েলে থাকা নিজেদের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া অনুরূপ ঘোষণার পর এই পরিকল্পনার কথা জানাল গুয়াতেমালা।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপরই দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস ইসরায়েলে দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন। গতকাল রোববার লেখা এক পোস্টে তিনি বলেন, গুয়াতেমালা ও ইসরায়েলের মধ্যে ‘দুর্দান্ত সম্পর্ক’ রয়েছে। এখন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
জিমি মোরালেস বলেন, ‘এ কারণেই আমি আপনাদের জানাচ্ছি যে দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আমি নির্দেশনা দিয়েছি।’ তবে কবে ও কীভাবে দূতাবাস সরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, সে ব্যাপারে তিনি কোনো তথ্য জানাননি।
গুয়াতেমালার এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। একে ‘সত্যিকারের বন্ধুত্ব’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একজন মুখপাত্র এই পদক্ষেপকে ‘হতাশাপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন। এ ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিবাদ জানিয়েছে আরব ও ইসলামি বিশ্ব। এতে সমর্থন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা মিত্ররাও। এর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তোলা প্রস্তাবের বিপক্ষে যে নয়টি দেশ ভোট দিয়েছিল, তার একটি গুয়াতেমালা। গত বৃহস্পতিবারের ওই ভোটাভুটিতে ১২৮ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল ৩৫ দেশ।
পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি বাস করেন। এঁদের সঙ্গেই থাকেন আরও দুই লাখ ইহুদি ইসরায়েলি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অধিকৃত এই ভূমিতে ইহুদি বসতি বৈধ নয়। তবে ইসরায়েল একে বৈধ বলে দাবি করে।