মা-স্ত্রীর দেখা পেলেন গুপ্তচর কুলভূষণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: গুপ্তচরবৃত্তি ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবের (৪৭) সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও মা দেখা করেছেন। আজ শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাদবের সঙ্গে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। তবে সরাসরি নয়, মাঝখানে ছিল কাচের দেয়াল। খবর এনডিটিভির।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার এক বছরের বেশি সময় পর স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেলেন যাদব। তিনি পরিবারের সদস্যেদের সঙ্গে কথা বলেন ইন্টারকমের মাধ্যমে। সেখান পাঁচ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই সাক্ষাতের আয়োজন করে। পাকিস্তানের ভিসা পেতে যাদবের পরিবারকে কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হয়। কুলভূষণ যাদবের (৪৭) সঙ্গে স্ত্রী ও মায়ের দেখা করার বিষয়ে পাকিস্তানের অনুমতি দেওয়ার কথা ৮ ডিসেম্বর জানায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট ফর জাস্টিসে যাদবের সাজার বিরুদ্ধে ভারতে করা আপিলের শুনানি হবে। যাদবকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়েই তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে ভারত। এ ছাড়া গ্রেপ্তারের পর যাদবের সঙ্গে ভারতের কনস্যুলার অফিসের কোনো কর্মকর্তার যোগাযোগের সুযোগ না দিয়ে পাকিস্তান ভিয়েনা কনভেনশনের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে বলে ভারত অভিযোগ করে।
২১ মাস ধরে পাকিস্তানের হেফাজতে আছেন কুলভূষণ। এই দিনগুলোতে ভারতের কনস্যুলার অফিসের কোনো কর্মকর্তাকে কুলভূষণের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার পর ভারত ওই আদালতকে ‘ক্যাঙারু আদালত’ বলে অভিহিত করেছিল। চলতি বছরের মে মাসে ভারতের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের রায় স্থগিত করা হয়।
গত ১০ এপ্রিল গুপ্তচরবৃত্তি ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। পাকিস্তানের ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল (এফজিসিএম) এ রায় দেন।
পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতিতে ওই সময় উল্লেখ করা হয়েছিল, বেলুচিস্তানের মাশকেল এলাকা থেকে গত বছরের ৩ মার্চ কুলভূষণ যাদবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল।