সহকারী শিক্ষকদের অনশন ভাঙালেন মন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক নেতাদের অনশন ভাঙিয়েছেন। তবে সাধারণ শিক্ষকেরা এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তাঁরা চান, তাঁদের দাবি মানার ব্যাপারে মন্ত্রী শহীদ মিনারেই ঘোষণা দেন। অনশন ভাঙিয়ে মন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, দাবির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার টেবিলেই সমস্যার সমাধান হবে।
মন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যেই শিক্ষকেরা তাঁদের দাবির সপক্ষে স্লোগান দেন। তাঁরা দাবি মানার ঘোষণা দিতে মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী শিক্ষক নেতাদের অনশন ভাঙিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন। এখনো সাধারণ শিক্ষকেরা সেখানে অবস্থান করছেন। পুলিশ তাঁদের শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করতে হ্যান্ড মাইকে অনুরোধ জানাচ্ছেন।
এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই সোমবার থেকে আমরণ অনশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর করার দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিন দিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের আমরণ অনশন করছিলেন।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের ডাকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। সহকারী শিক্ষকদের আটটি সংগঠন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। সংগঠনের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলনকারী বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের একজন নেতা মোহাম্মদ সামছুদ্দীন বলেন, সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আর কয়েকজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার এক নারী শিক্ষক বলেন, শনিবার থেকে তিনি এখানেই পলিথিনের নিচে থাকছেন। তিন দিন ধরে তিনি এক কাপড়েই আছেন।
শিক্ষকেরা বলছেন, তাঁরা এক দফা দাবিতে এখানে আন্দোলন করছেন। তাঁদের দাবি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে রাখতে হবে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের চেয়ে তিন ধাপ নিচের স্কেলে বেতন পান প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা। বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকেরা বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে (এই গ্রেড শুরুর মূল বেতন ১২,৫০০ টাকা) বেতন পান। আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা পান ১৪তম গ্রেডে (এই গ্রেডের শুরুর মূল বেতন ১০,২০০ টাকা)।