খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শত চেষ্টা করেও দেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না। আর্থসামাজিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে।
আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত ‘বাংলার ৪৬তম বিজয় উৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া গতকাল রাজধানীতে এক সমাবেশে বলেছিলেন, পাকিস্তানি কায়দায় দেশ চলছে।সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের তাঁর বক্তব্যে পাকিস্তানের চেয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে, সে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু দেশ নিয়ে তো আমরা গর্ব করি। পাকিস্তানি ধারায় দেশ চালাচ্ছি, এমন কথা বেগম জিয়া পর্যন্ত বলতে পারলেন?’ পরিসংখ্যানের কথা উল্লেখ করে বলেন, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে। পাকিস্তানের আছে পরমাণু অস্ত্র। এটা বাংলাদেশের নেই। কিন্তু বাংলাদেশের পরমাণু অস্ত্র হচ্ছে দেশের জনগণ।
আওয়ামী লীগ সমঝোতা করছে বলে অনেকে মনে করছেন, কলকাতায় গিয়েও এমন কথা শুনেছি উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সময়ের পরিবর্তনে বাস্তবতার কারণে কৌশল বদলাতে হয়। কিন্তু তার মানে সমঝোতা নয়। এ সময় তিনি ভারতীয় হাইকমিশনারকে উদ্দেশ করে বলেন, ভারত বিনিয়োগ আরও বাড়ালে বাংলাদেশ অন্য দেশের কাছে যাবে না।
ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিজয় এমন একটি ঘটনা, যা উভয় দেশই উদ্যাপন করে। বাংলাদেশে ভারতের এখন বিনিয়োগ বাড়ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শ্রিংলা বলেন, দুই দেশের গন্তব্য একই। আর্থসামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো আন্তসম্পর্কিত। দুই দেশ যা করে, তা নিজেদের ভালোর জন্যই করে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশ সেই বিরোধিতাকারীদের পরাজিত করেছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ চৌধুরী, স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী।