স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ভাষানটেক থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মিনহাজুল আবদিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে ভাষানটেক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় দৈনিকে ‘থানার পাশেই মাদকের আখড়া’ শিরোনামে সরেজমিন খবর প্রকাশিত হয়। এরপর মাদক স্পট নিয়ন্ত্রকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশের মিরপুর বিভাগ।
ভাষানটেক থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পিআরপি স্কুলের পেছনের মাদকের স্পটে জড়ো হচ্ছিল মাদকসেবী ও বিক্রেতারা। এ সময় সেখানে ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর ছাব্বির আহম্মদের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক দল চারদিক দিয়ে তাদের ঘিরে ফেলেন। একপর্যায়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করে। প্রায় একই সময় ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের বাসা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মিনহাজুল আবদিনকে গ্রেপ্তার করে।
রাতে ভাষানটেক থানার ওসি মীর ছাব্বির আহম্মদ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মিনহাজুলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মিনহাজুল আবদিন মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণও করেন এবং নিজেও মাদক সেবন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভাষানটেক থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। এ ছাড়া পিআরপি স্কুলের আশপাশ থেকে অন্তত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
ভাষানটেক থানার ওসি আরও বলেন, আটক ১৪ জনের সম্পর্ক তথ্য যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিরপুর ১৪ নম্বর মোড়সংলগ্ন খালের দুই পাড়ে গড়ে ওঠা বাগানবাড়ি বস্তিতে গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকারী বাচ্চু মিয়াকে মাদকসহ কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কয়েক দিন আগে তিনি জামিনে বেরিয়ে যান। বাচ্চু বাগানবাড়ি ইউনিট স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
ভাষানটেক থানার পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওসি ছাব্বির আহম্মদের নেতৃত্বে থানার কয়েকটি দল ভাষানটেকে মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন বস্তিতে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল।
এদিকে কাফরুল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আসলামউদ্দিন খান বলেন, কাফরুল থানার একাধিক দল সন্ধ্যা থেকে মাদকবিরোধী অভিযানে নেমেছে। রাতভর অভিযান চলবে।