অবস্থান থেকে অনেকটাই নড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নির্বাচন পদ্ধতির বিষয়ে অনড় থাকার কথা বললেও প্রধানমন্ত্রী সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়া।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুই নেত্রীকে ফোন করেছিলেন। সেই ফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বলেছেন- বিএনপি যদি সরকারকে কোন প্রস্তাব দেয় তাহলে তিনি বিবেচনা করবেন। এর মাধ্যমেই তিনি শুধু এক চুল নয়, কয়েক চুল সরে এসেছেন।”
গত শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সকালে ও বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে সন্ধ্যায় ফোন করেন।
ফোনালাপে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, “হাসিনা বলছেন- তিনি বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন করবেন। এই সংবিধানের অধীনে বিএনপিসহ আঠারো দলীয় জোট নির্বাচনে করবে না।”
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের পর এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আগামী নির্বাচন হবে।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না দাবি করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি সংবিধানে পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধান সংশোধনের কথা আওয়ামী লীগ বলে এলেও বিএনপির অভিযোগ, ক্ষমতা ধরে রাখতেই নিজেদের অধীনে নির্বাচনের ‘ব্যবস্থা’ করেছে ক্ষমতাসীন দল।
প্রধান দুই দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের মধ্যে গত ১৮ অগাস্ট এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যা হবে সংবিধান মোতাবেক হবে। একচুলও নড়া হবে না।
আদালতের এক রায়ে জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, “তবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করার কোন সাংবিধানিক অধিকার নির্বাচন কমিশনের নেই।”
এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আদালত নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করায় আসন্ন বরগুনা-২ আসনে উপনির্বাচনে জামায়াত অংশ নিতে পারবে না।
রায়ের কপি হাতে পেলে দলটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় দলটির কয়েকজন নেতাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় গনতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইবরাহিম, সাবেক সাংসদ হেলেন জেরিন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।