নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা আত্মগোপনে ছিলেন !
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: রাজধানী থেকে নিখোঁজ ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তা নাইমুল ইসলাম ওরফে সৈকতকে সোমবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। আর তাঁর পরিবারের দাবি, চট্টগ্রামে ঘুরতে গিয়ে তাঁর ফোন বিকল হওয়ায় এ বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখার কর্মকর্তা নাইমুল ইসলাম গত ২৬ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন বলে তাঁর স্ত্রী তামান্না খান সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ওই জিডি করা হয়।
সোমবার তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল বারেক বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নাইমুলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। তিনি সেখানে আড়াই হাজার টাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে অবস্থান করছিলেন। পরে গতকাল সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
এসআই বারেক বলেন, নাইমুল ইসলাম তাঁর বন্ধু ও স্বজনদের কাছ থেকে ৩ শতাংশ সুদে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ধার নেন। সেই টাকাই আবার ৪ শতাংশ সুদে আরেক ব্যাংক কর্মকর্তাকে ধার দেন। গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেল চারটার মধ্যে ধার নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল নাইমুলের। কিন্তু তিনি যাঁকে টাকা ধার দিয়েছিলেন, ওই ব্যাংক কর্মকর্তা তাঁকে জানিয়ে দেন ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁর পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এরপরই পাওনাদারদের চাপ এড়াতে আত্মগোপন করেন নাইমুল।
নাইমুলের স্ত্রী ও জিডির বাদী তামান্না খান বলেন, ‘আসলে তিনি (নাইমুল) চট্টগ্রামে গিয়ে তাঁর মোবাইল নষ্ট হয়ে যায়। তাঁর কাছে অন্য কারও নম্বরও ছিল না। এ কারণে এ বিপত্তি তৈরি হয়। গতকাল সকালে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। পরে পুলিশ তাঁকে আদালতে নিয়ে যায়।’ সোমবার সন্ধ্যায় যখন কথা হচ্ছিল, তখন নাইমুল আদালত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানান তামান্না।
গত চার মাসে রাজধানী থেকে ১৬ জন নিখোঁজ হন, যাঁদের মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ছয়জন ফিরে এসেছেন। এখনো নিখোঁজ তিনজন। এঁরা হলেন কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশরাক আহমেদ, বিএনপি নেতা সৈয়দ সাদাত আহমেদ এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান।